বিড়াল পালনের উপকারিতা ও অপকারিতা বিস্তারিত জানুন

কবুতরের উপকারিতা ও অপকারিতা জানুনসম্মানিত পাঠক, বিড়াল পালনের উপকারিতা ও অপকারিতা, কালো বিড়ালের উপকারিতা, ইসলামে বিড়াল পালনের উপকারিতা, ঘরে বিড়াল থাকলে কি হয়, বিড়ালের সাথে ঘুমালে কি হয় সে সম্পর্কে আজকে আমরা আপনাকে জানাতে চলেছি।
বিড়ালের উপকারিতা ও অপকারিতা
বিড়ালের উপকারিতা ও বিড়ালের ক্ষতিকর দিক সহ আমরা আরও আলোচনা করব বিড়ালের খাওয়া খাবার খেলে কি হয়, বিড়াল কামড় দিলে কি হয়, কালো বিড়াল বাড়িতে থাকলে কি হয়, বাড়িতে বিড়াল মারা গেলে কি হয়, বিড়ালের লোম মানুষের পেটে গেলে কি হয়, ঘরে বিড়াল পায়খানা করলে কি হয় এবং বিড়ালের নখের আঁচড়ে কি সমস্যা হয় সে সম্পর্কে।

ভূমিকা

বিড়ালকে প্রাচীনকাল থেকেই গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিড়ালের উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে। এরা একদিকে যেমন আমাদের আনন্দ দিয়ে থাকে তেমনি বেশ কিছু সমস্যা ও সৃষ্টি করে। বর্তমানে অনেকেই বিড়াল পালন করতে চায়, বিড়ালকে সঙ্গী হিসেবে রাখতে চায়। কিন্তু বিড়াল পালনের পূর্বে বিড়ালের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে সচেতন হওয়া দরকার।

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা বিড়ালের বিভিন্ন সুবিধা ও অসুবিধা বিস্তারিত আপনাকে জানানোর চেষ্টা করব, যাতে আপনি বিড়াল পালনের আগে বা পরে বিড়াল সম্পর্কে ভালো ধারণার রাখতে পারেন। চলুন শুরুতে বিড়ালের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

বিড়াল পালনের উপকারিতা

গৃহপালিত প্রাণী হিসাবে বিড়ালের অনেক উপকারিতা রয়েছে। বিড়ালের স্বভাব এবং আচরণ মানুষের মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করতে পারে। নিম্নে বিড়াল পালনের উপকারিতা গুলো তুলে ধরা হল:

মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে: গবেষণায় দেখা যায় যে, বিড়ালের সাথে সময় ব্যয় করলে মানুষের মানসিক চাপ কমতে থাকে এবং বিষণ্নতা কমে যায়। বিড়াল আদর পেতে এবং খেলাধুলা করতে পছন্দ করে। মানুষ যখন বিড়ালের সাথে খেলাধুলা করে তখন অক্সিটোসিন হরমোন বের হয়, যার ফলে মনে প্রশান্তি লাভ হয়।
এছাড়া বিড়াল মানুষকে দেখলে মিউ মিউ করে ডাক দেয় এবং বিড়াল নিজের গা মানুষের সাথে ঘষাঘষি করে, যার ফলে একাকীত্ব দূর হয়।

একাকীত্ব দূর করে: বিড়াল তাদের মালিকদের সাথে সময় কাটাতে পছন্দ করে এবং সাথী হিসেবে বসবাস করে। বিশেষ করে যারা বয়স্ক মানুষ রয়েছে এবং যারা একাকী বসবাস করে তাদের জন্য বিড়াল অনেক উপকারী প্রাণী হতে পারে।

পোকামাকড় ও ইঁদুর দমন: প্রাচীনকাল থেকেই ইঁদুর এবং বিষাক্ত পোকামাকড় দমন করার জন্য বিড়াল ঘরে লালন পালন করা হয়। কেননা বিড়াল একটি শিকারি প্রাণী, এরা ইঁদুর, ছুঁচো, পাখি, টিকটিকি, বিষাক্ত পোকামাকড় শিকার করে থাকে।

বিড়াল আপনার জন্য অনেক উপকারী হতে পারে, কেননা ইঁদুর এবং বিভিন্ন বিষাক্ত পোকামাকড় ও প্রাণী বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই ছড়ায়। ঘরে বিড়াল থাকলে এসব প্রাণী ঘরে থাকে না এবং রোগ বালাইও ছড়াতে পারে না।

বিড়াল শিশুদের জন্য উপকারী: বাড়িতে বিড়াল পালনের মাধ্যমে শিশুরা দায়িত্ববান এবং যত্নশীল হয়ে ওঠে। বিড়ালের যত্ন নেওয়া, তাকে খাবার খাওয়ানো, বিড়ালের স্বাস্থ্য ভালো রাখা এসব কর্মকাণ্ডের দ্বারা বাচ্চারা দায়িত্ববান হয়ে ওঠে এবং মানসিক বিকাশ ঘটে। বিড়ালের সাথে খেলাধুলার মাধ্যমে বাচ্চাদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

খরচ কম: বিড়ালের আরও উপকারিতা হল, এটি পালনে খরচ তুলনামূলক কম। অন্যান্য প্রাণীদের তুলনায় বিড়ালের খাবার এবং চিকিৎসাতে তেমন খরচ করতে হয় না। এদের বেশি প্রশিক্ষণ দেওয়ারও দরকার হয় না। বিড়াল নিজেকে সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখে।
বিড়াল পালনের অনেক উপকারিতা রয়েছে। তবে যারা বিড়াল পালন করবেন বলে ভাবছেন তাদের জন্য বিড়ালের যত্ন নেওয়া এবং সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। যাতে বিড়ালের সাথে আপনার সম্পর্ক ভালো হয়।

কালো বিড়ালের উপকারিতা

কালো বিড়াল বিভিন্ন সংস্কৃতিতে অশুভ বলে ভাবা হয়। আবার কেউ কেউ সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবেও দেখেন (ব্রিটিশরা এমন ভেবে থাকে)। কিন্তু এসব ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। বৈজ্ঞানিকভাবে এসবের কোন ভিত্তি নেই। অন্যান্য বিড়ালের মতোই কালো বিড়ালের উপকারিতা রয়েছে।

কালো বিড়াল ইঁদুর এবং পোকামাকড় দূর করতে সাহায্য করে। বিড়ালে যাদের অ‍্যালার্জি রয়েছে, গবেষণায় দেখা গেছে কালো বিড়াল তাদের জন্য কম ঝুঁকিপূর্ণ।

ইসলামে বিড়াল পালনের উপকারিতা

ইসলামের দৃষ্টিতে বিড়াল পালন করা জায়েজ। ইসলামে বিড়াল পালনের উপকারিতা সম্পর্কে ইসলামিক ইতিহাস ও বিভিন্ন হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়। বিড়াল একটি পবিত্র প্রাণী। ইসলামে পবিত্রতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। হযরত আবু হুরায়রা (রা) বর্ণনা করেন, বিড়াল অশুচি নয়, তারা তোমাদের ঘরে এবং আশেপাশে ঘুরে বেড়ায়। (হাদিসটি তিরমিজি শরীফে বর্ণিত) এই হাদিসটির মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি যে, বিড়াল ঘরের পবিত্রতা নষ্ট করে না।

এমনকি তাদের প্রশিক্ষণ দিলে তারা নির্দিষ্ট স্থানে পেশাব পায়খানা করে থাকে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা) বিড়াল পছন্দ করতেন এবং ভালোবাসতেন। সুতরাং বিড়ালকে আদর করা, বিড়ালের যত্ন নেওয়া, বিড়ালকে ভালোবাসা মুমিনের কাজ। ইসলামে প্রাণীদের প্রতি স্নেহ এবং ভালোবাসা প্রদর্শন করতে বলা হয়েছে।

হাদিসে বর্ণিত আছে, একজন মহিলা একটি বিড়ালকে বন্দী করে রাখে, সেই বিড়ালটিকে মহিলাটি কোন খাবার দেয় না এবং ছেড়েও দেয় না, যাতে বিড়ালটি পোকামাকড় শিকার করে খেতে পারে। এভাবে কিছুদিন পর বিড়ালটি মারা যায় এবং মহিলাটি জাহান্নামী বলে সাব্যস্ত হয়। সুতরাং প্রাণীদের প্রতি দয়াশীল হতে হবে এবং তাদের কষ্ট দেওয়া যাবে না।

এছাড়া বিড়াল আমাদের বিনোদন এবং আনন্দ দেয়, যা ইসলামে অনুমোদিত। অনেকেই বলে থাকেন যেই ঘরে বিড়াল থাকে সেই ঘরে জ্বীন প্রবেশ করে না। সব মিলিয়ে ইসলামে বিড়াল পালনের অনেক উপকারিতা রয়েছে।

ঘরে বিড়াল থাকলে কি হয়

বিড়াল ঘরে থাকলে কিছু উপকার হয়, আবার কিছু ক্ষেত্রে অপকারও হয়। ঘরে পোষা বিড়াল থাকলে পরিবারের মানুষদের সাথে খেলাধুলা এবং সময় কাটানোর মাধ্যমে বিড়াল তাদের মানসিক চাপ ও বিষণ্নতা কমাতে সাহায্য করে।

মানুষের একাকীত্ব দূর হয় এবং ইঁদুর, টিকটিকি ও অন‍্যান‍্য পোকামাকড়ের উৎপাত কমায়। তবে ঘরে বিড়াল থাকলে কিছু অসুবিধা রয়েছে। নিচে বিড়ালের অপকারিতা বা ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আলোচনা করা হল।

বিড়ালের অপকারিতা

বিড়ালের অপকারিতা রয়েছে। বিড়ালের অপকারী দিকগুলো বিবেচনা করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। বিড়ালের অপকারিতা গুলো নিম্নে আলোচনা করা হল:

পাখি হত‍্যা করে: বিড়াল অনেক সময় পাখি শিকার করে। পাখি প্রেমীদের জন্য বিড়াল পালন করা কষ্টকর কাজ। বিড়াল সুযোগ পেলে অন্যদের বাসায় গিয়ে পোষা পাখি স্বীকার করে আনে। এতে মানুষের সাথে মানুষের ঝগড়া ঝামেলা সৃষ্টি হতে পারে।

অন্যের বাসায় গিয়ে খাবার চুরি: বিড়ালকে ভালোভাবে প্রশিক্ষণ না দিলে তারা অন্যের বাসায় গিয়ে খাবার চুরি করে খায়। এতে সমাজে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হতে পারে। এজন্য আপনার বিড়াল যাতে অন্যের বাসায় না যেতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

প্রসাব পায়খানা করে: আপনি যদি বিড়ালকে সঠিকভাবে ট্রেনিং না দেন এবং প্রসাব পায়খানার জায়গা নির্বাচন করে না দেন তাহলে আপনার বিড়াল যেখানে সেখানে প্রসাব পায়খানা করে পরিবেশ নষ্ট করতে পারে।

রোগ বহন করতে পারে: কিছু কিছু বিড়াল বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে অন্যান্য প্রাণীর সংস্পর্শে থাকার কারণে। বিড়ালকে নিয়মিত ভালো মানের শ্যাম্পু দিয়ে গোসল না করালে শরীরে উকুন বহন করতে পারে। বাহিরে ঘোরাফেরা করে এমন বিড়াল এর কামরে বা আঁচড়ে জলাতঙ্ক রোগ হতে পারে।

ফসল নষ্ট করে: বিড়াল অনেক সময় ফসলের ক্ষেতে প্রবেশ করে ফসল খেয়ে ফেলে এবং নষ্ট করে।

সতর্কতা: বিড়ালের অপকারিতা

আপনার কোলের শিশুসন্তানকে বিড়ালের থেকে দূরে রাখুন। কেননা তারা রোগ বহন করতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি বিড়ালকে ভ্যাকসিন প্রদান করতে পারেন। আপনার বিড়ালকে সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ দিন। তা না হলে আপনার বিড়ালকে নিয়ে আপনি ঝামেলায় পড়তে পারেন।

বিড়ালের সাথে ঘুমালে কি হয়

বিড়াল মানুষের সাথে ঘুমাতে পছন্দ করে। বিড়াল যদি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকে এবং কোন রোগ জীবাণু বহন না করে তাহলে বিড়ালের সাথে ঘুমালে মানব জীবনে কোন প্রভাব ফেলে না। বিড়ালের সাথে থাকা মানুষদের রক্তচাপ এবং হৃদরোগের লেভেল কমে আসে। বিড়ালের সাথে ঘুমালে বিড়াল এবং মানুষের সম্পর্ক ও ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়। ঘুমের মধ্যে বিড়াল আপনাকে নিরাপত্তা প্রদান করতে পারে।

বিড়ালের খাওয়া খাবার খেলে কি হয়

অনেক সময় বিড়াল মানুষের খাবারের মুখ দিয়ে থাকে বা খেয়ে থাকে। তাই বিড়ালের খাওয়া খাবার খেলে কি হয় তা অনেকেই জানতে চান। বিড়ালের খাওয়া খাবার খেলে মানুষের শরীরে অনেক প্রভাব সৃষ্টি হতে পারে।

বিড়ালের খাওয়া খাবার খেলে অনেকের অ‍্যালার্জি জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার বিড়ালের খাওয়া খাবার অনেকের বিরক্তির কারণ হতে পারে। এর ফলে মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। বিড়ালের মুখে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া রয়েছে, তাই বিড়ালের খাওয়া খাবার বা পানি গ্রহণ করা উচিত নয়।

বিড়াল কামড় দিলে কি হয়

ভ্যাকসিন দেওয়া পোষা বিড়াল কামড় দিলে তেমন কোন ক্ষতি হয় না। বিড়াল অনেক সময় খেলার ছলে মানুষকে বা শিশুকে কামড় দিয়ে ফেলে। আবার অনেক সময় বিড়ালকে অতিরিক্ত বিরক্ত করলে বিড়াল কামড় দিতে পারে। ভ্যাকসিন দেওয়া পোষা বিড়াল কামড়ালে কোন ক্ষতি হয় না, তবুও কামড়ের ফলে যদি খুব বেশি জখম হয়ে যায় তাহলে যেই স্থানে জখম হয়েছে সেই স্থানে অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম বা লিকুইড ব্যবহার করুন।

আর যদি বাহিরের কোন শিকারি বিড়াল আপনাকে কামড় দেয় তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং ভ্যাকসিন গ্রহণ করুন। তা না হলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। বর্তমান সময়ে কুকুর এবং বিড়ালের আক্রমণের ফলে জলাতঙ্ক রোগ হচ্ছে। তাই সচেতন হন।

বিড়ালের নখের আঁচড়ে কি সমস্যা হয়

আপনার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ঘরে থাকা পোষা বিড়ালের নখের আঁচড়ে তেমন কোন সমস্যা হয় না। বিড়ালের নখের আঁচড়ে যদি কোন জায়গায় কেটে যায় তাহলে সেখানে ভালো মানের অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম ব্যবহার করুন।

এছাড়া বাহিরের ময়লা আবর্জনায় থাকা বিড়াল যদি আপনাকে নখ দিয়ে আঁচড়ে দেয় তাহলে বিভিন্ন জীবাণু আপনার শরীরে প্রবেশ করতে পারে। সতর্কতা অনুযায়ী এক্ষেত্রে আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।

বাড়িতে বিড়াল মারা গেলে কি হয়

বাড়িতে অনেকের বিড়াল মারা যায়। আবার অনেক সময় বাইরের বিড়াল গুলো বাড়িতে এসে মারা যায়। বাড়িতে বিড়াল মারা গেলে অশুভ লক্ষণ বলে ধারণা করেন অনেকেই। তবে এটি একটি ভ্রান্ত ধারণা। কেননা বৈজ্ঞানিকভাবে বা ইসলামে এর কোন অস্তিত্ব নেই। কোন প্রাণী কোথায়, কিভাবে, কেন মারা যায় তা পর্যবেক্ষণ না করলে সঠিকভাবে বলা যায় না।

বিড়ালের লোম মানুষের পেটে গেলে কি হয়

বিড়ালের লোম মানুষের পেটে গেলে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। বিড়ালকে যদি ভালো মানের শ্যাম্পু দিয়ে নিয়মিত গোসল না করানো হয়, তাহলে বিড়ালের লোমে অনেক ময়লা জীবাণু বাসা বাঁধে। এই লোম যদি মানুষের পেটে চলে যায় তাহলে নানা ধরনের রোগ সৃষ্টি হতে পারে মানুষের শরীরে। বিভিন্ন অসুস্থতা সহ পেটে ব্যথা, অস্বস্তি বোধ হতে পারে।

ঘরে বিড়াল পায়খানা করলে কি হয়

বিড়াল ঘরে পায়খানা করলে আপনি বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। বিড়ালের পায়খানায় ব‍্যাকটেরিয়া ও পরজীবী থাকতে পারে। তাই বিড়াল ঘরের যেখানে সেখানে পায়খানা করলে আপনি ব্যাকটেরিয়া ও পরজীবী দ্বারা আক্রান্ত হতে পারেন এবং আপনার শরীরে বিভিন্ন জটিল রোগ সৃষ্টি হতে পারে।

এছাড়া বিড়াল পায়খানা করলে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে, যার কারণে পরিবেশ নষ্ট হয়। এজন্য আপনার বিড়ালকে লিটার বক্স ব্যবহার করার প্রশিক্ষণ দিতে হবে এবং এটি সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে।

লেখকের মন্তব্য: বিড়ালের উপকারিতা ও অপকারিতা

বিড়াল আমাদের সকলের প্রিয় একটি পোষা প্রাণী। বিড়ালের উপকারিতা ও অপকারিতা উভয়ই রয়েছে, যা আমরা আপনাকে বিস্তারিত জানিয়েছি। আপনি যদি বিড়াল পালন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে বিড়ালের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে বিড়ালের উপকারিতা বৃদ্ধি এবং অপকারিতা কমিয়ে আনা সম্ভব। আপনার বিড়ালের কোন রোগ হলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে গিয়ে চিকিৎসা দিতে হবে। বিড়ালের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে জানিয়ে দিবেন এবং আমাদের এই আর্টিকেলটি শেয়ার করতে ভুলবেন না, ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

দি প্লেনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url