ঔষধি গাছের নাম ও উপকারিতা - ঔষধি গাছের নামের তালিকা
চিনিপাতা গাছের উপকারিতা জানুনসম্মানিত পাঠক আজকে আমরা আপনাকে ঔষধি গাছের নাম ও উপকারিতা, ঔষধি গাছের নামের তালিকা এবং বাংলাদেশের ঔষধি গাছের তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিত বলব।
আমাদের প্রকৃতিতে এমন অনেক ঔষধি গাছ রয়েছে যা বিভিন্ন ছোট বড় রোগ ভালো করতে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ করে। চলুন এমন ঔষধি গাছের নাম ও উপকারিতা এবং ঔষধি গাছের নামের তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ভূমিকা
ভারতে এবং আমাদের বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণ ঔষধি গাছ গাছড়া রয়েছে, কিন্তু আমরা সেগুলোর নাম এবং উপকারিতা ও ব্যবহার সম্পর্কে না জানার কারণে সেগুলো থেকে বঞ্চিত। তাই আমরা বিভিন্ন রোগ বালাই প্রতিরোধে এবং প্রতিকারের জন্য বিভিন্ন ঔষধ খেয়ে থাকি।
আরও পড়ুন পেয়ারা পাতার উপকারিতা
এসব ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে পরবর্তীতে আমরা বিভিন্ন জটিল সমস্যায় ভুগে থাকি। পরবর্তীতে আবার ডাক্তারের কাছে যেতে হয় এবং অনেক খরচাও করতে হয়। কিন্তু আপনি যদি প্রাকৃতিকভাবে সুস্থ থাকতে চান তাহলে আপনি আপনার হাতের কাছেই অনেক উপায় রয়েছে। এজন্য আমাদের শুরুতে জানতে হবে ঔষধি গাছের নামের তালিকা সম্পর্কে।
ঔষধি গাছের নামের তালিকা
বাংলাদেশ এবং ভারত সহ আরও অন্যান্য জায়গায় পাওয়া যায় এমন ঔষধি গাছের নামের তালিকা দেওয়া হল -
- সজনে, বাসক, ক্যালেনডুলা, মরিয়ম ফুল
- নাগর মুথা, পান, আমরুল শাক
- বড় দুধিয়া, ঝুমকো লতা, পুঁইশাক
- দারুচিনি, শিয়ালমুত্রা, কাঁটানটে
- বিষকাটালী, চুকাই, চুইঝাল
- গোলাপ, বন টেপারী, বিলাতী ধনিয়া
- জবা, রিফিউজি লতা, গুলঞ্চ
- ব্রাহ্মী শাক, জামের বীজ, কলার বুবলি
- আমলকী, বিষকচু, গন্ধ কদালী
- কেশুটি, বেল, ভৃঙ্গরাজ
- লেমন ঘাস, মিঠা নীম, লজ্জাবতী
- নীম, শতমূলী, ঢিমা শাক
- জুনিপার, অর্জুন, লবঙ্গ
- জয়তুন, ভেরেণ্ডা, ডায়াবেটিক পাতা
- উলটকম্বল, ধনিয়া, চিরতা
- হাড়জোড়া, ছাতিম, পিয়াজ
- রসুন, আদা, হলুদ, কলার থোড়
- নয়ন তারা, চিটকী, করোসল
- হরিতকী, আকন্দ, তেজপাতা
- বহেড়া, লেমন বাম, বিলিম্বি ইত্যাদি
ঔষধি গাছের নাম ও উপকারিতা
ঔষধি গাছের নাম ও উপকারিতা তুলে ধরা হল -
- মেন্দাপাতা : পেটের ব্যথা, রক্ত আমাশয় হলে এই পাতা পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে সেই পাতা খেলে উপকার পাওয়া যায়।
- গুলঞ্চ : ডায়াবেটিস প্রতিরোধে, ক্যান্সার প্রতিরোধে, হাড় ক্ষয় রোধ করতে এই গাছের পাতা বড়া তৈরি করে খেতে হয়।
- ব্রাহ্মী শাক : মাথা ব্যথা, দাঁতে ব্যথা, দুশ্চিন্তা মুক্তি, অ্যালার্জি, ব্রংকাইটিস ও চুল পড়া প্রতিরোধে এই শাক অত্যন্ত কার্যকরী।
- জামের বীজ : জামের বীজ ডায়াবেটিসের জন্য মহা ঔষধ। হজমের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, মাড়ির প্রদাহে জামের বীজ ও ছাল ব্যবহৃত হয়।
- সজনে : সজনে পাতাকে পুষ্টির ভাণ্ডার বলা হয়। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ কমায় ও লিভারের জন্যেও ভালো, রুচি বৃদ্ধি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- কলার বুবলী : কুচি কুচি করে কেটে তরকারিতে দিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়, বুক জ্বালা এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- কলার থোড় বা মগজ : কলার কচি মগজ ভাজি করে খেলে পেট ফাঁপা, পেটের সমস্যা দূর হয়।
- আমলকী : এই গাছের ফলের রস পেটে পীড়া, অজীর্ণতা, হজম ও কাশিতে বিশেষ উপকারী, এটা রক্তহীনতা, জন্ডিস, চুল পড়া, চর্মরোগ দূর করে।
- বিষ কচু : ভাজি করে খেলে শরীরের দীর্ঘদিনের ক্ষত, বিষ ব্যথা ভালো হয়, পেটের যাবতীয় সমস্যা থেকে মুক্তি মিলে।
- গন্ধবাদালী : পেটের পীড়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফাঁপা রোধ করে, এই পাতা ভেজে কিংবা বড়া তৈরি করে খেতে হয়।
- কেশুটি : এর রস পাকা চুল কালো করে, চুল পড়া বন্ধ করে।
- বেল : বেলের শরবত কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, আমাশয়ের জন্য উপকারী, হজম শক্তি বাড়ায় ও বল বর্ধক।
- তেলাকুচা : এর কাণ্ড ও পাতার রস ডায়াবেটিস রোগে ব্যবহৃত হয়, এর রস সর্দি, জ্বর, হাঁপানির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। চর্মরোগে পাতা বেটে ব্যবহার করলে উপকার হয়।
- মনি-মনসা : হাড় ক্ষয় রোধ করে, ক্ষতিগ্রস্ত হাড় মেরামত করে, তারুণ্য ধরে রাখে ও শরীরের ত্বকের সুরক্ষা দেয়।
- শতমূলী : এটি বন্ধ্যত্ব নিবারক ও শক্তিবর্ধক হিসেবে কাজ করে, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
- ভৃঙ্গরাজ : এর রস পাইরিয়া রোগে, হাত-পা জ্বালাপোড়ায় ব্যবহৃত হয় এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।
- মেহেদি : চুল পড়া কমায়, খুশকি, একজিমা, ফাঙ্গাল ইনফেকশন ও ক্ষত সারাতে ব্যবহার করা হয়।
- ঘৃতকুমারী : সকালে খালি পেটে এলোভেরার শরবত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটের সমস্যা দূর হয়, ত্বকের যত্নে এলোভেরা খুবই জনপ্রিয় ও উপকারী।
- মেথি : কৃমি ও রোগ জীবাণু নাশক, রক্তে চিনির পরিমাণ কমায়, ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমায় ও তারুণ্য ধরে রাখে।
- লেমন ঘাস : কোলেস্টেরল কমায়, অনিদ্রা দূর করে, পেট ফাঁপা ও শরীরের ব্যথা দূর করে।
- মিঠা নিম : ডায়রিয়া, ক্যান্সার রোধ করে, দৃষ্টি শক্তি বাড়ায়।
- বাসক পাতা : ঠাণ্ডা লাগা, সর্দি-কাশি ও ফুসফুসের নানা সমস্যায় বাসক পাতা পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি খেলে উপকার পাওয়া যায়।
- লজ্জাবতী : এর শেকড় বেটে ডায়রিয়ার জন্য, আমাশয়, হাত পা জ্বালাপোড়ায় খাওয়া হয়। পাতা বেটে শরীরের ক্ষত স্থানে ব্যবহার করলে আরোগ্য লাভ হয়।
- নীম : নীম পাতা বেটে ছোট ছোট বল তৈরি করে ডায়াবেটিস রোগীরা সকাল বিকাল খেলে উপকার পাওয়া যায়। জল বসন্ত ও চামড়ার অসুখে নিমপাতা গরম পানিতে মিশিয়ে গোসল করলে উপশম হয়।
- ঢিমা শাক : ডায়াবেটিসে উপকারী, বাত ব্যথা, পাকস্থলী ও অন্ত্রের সমস্যা, অ্যাজমা, রক্ত প্রবাহে সমস্যা ও ফুসফুস সংক্রান্ত রোগে উপকারী।
- জুনিপার : পেটে ব্যথা, সাপের কামড়ে, মূত্রনালীর সংক্রমণে, পিত্তথলির পাথর দূরীকরণে ব্যবহৃত হয়।
- অর্জুন : এর বাকল হৃদরোগ এবং পাতার রস আমাশয় উপকারী, পাতা ও ফল জিহ্বা ও মাড়ির প্রদাহের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
- লবঙ্গ : রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে, চর্বি ও কাঁচা খাবার হজমে ত্বরান্বিত করে, লিভার এবং কিডনির কার্যক্রম ঠিক রাখে।
- জয়তুন : কোলেস্টেরল, হার্ট অ্যাটাক, ক্যান্সার, কোষ্ঠকাঠিন্য ও ওজন কমায়। জয়তুনের তেল ত্বকের যত্নে, ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে, ত্বকের চুলকানি দূর করতে ব্যবহৃত হয়। মাথার খুশকি দূর করে ও চুল পড়া কমায়।
- ভেরেণ্ডা : এর পাতা মাথাব্যথা দূর করে। এর বীজ কোষ্ঠকাঠিন্যে উপকারী এবং মূল দ্বারা বাত ও হাঁপানি রোগের চিকিৎসা করা হয়।
- ডায়াবেটিক পাতা : পাতার রস ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে খুবই কার্যকরী।
- উলটকম্বল : এর পাতা ও কচি ডাল, গর্ভাশয়ের সমস্যা, ব্যথা জনিত সমস্যা ও দুর্বলতা দূর করতে কার্যকরী।
- ধনিয়া : পেটের সমস্যা, হজম শক্তি বৃদ্ধি, বাতের ব্যথায় উপকারী। এটি চুল ঝরে পড়া ও খুশকি দূর করে।
- চিরতা : শুকনো কাণ্ড রাতে পানিতে ভিজিয়ে সেই পানি খালি পেটে সকালে খেলে জ্বর, বাত ব্যথা, ডায়াবেটিস রোগের উপশম হয়।
- হাড়জোড়া : ভাঙ্গা হাড়ে ব্যবহারে উপকার হয়, কৃমিনাশে, পেট ফাঁপায়, উচ্চ রক্তচাপ রোধে ব্যবহৃত হয়।
- ছাতিম : শুকনো ছাল বা বাকল আমাশয় ও চর্ম রোগে উপকারী।
- পিঁয়াজ : চুল পড়া কমাতে, খুশকি দূর করতে, পেঁয়াজের রস মাথায় ব্যবহার করতে হয়। বমি বন্ধ করতে ও কীটপতঙ্গের কামড়ের ব্যথা দূর করতে পেঁয়াজের রস ব্যবহৃত হয়।
- রসুন : রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে, রক্তচাপ কমায়। এটি হাড়ের জন্য উপকারী এবং শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করে।
- আদা : আদা চা ঠাণ্ডা, সর্দি কাশিতে চমৎকার আরাম দেয়। এটি আর্থ্রাইটিস প্রদাহ ও সংক্রমণ দমনে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, হার্টের জন্যেও উপকারী।
- হলুদ : এটিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান। আর্থ্রাইটিসের ব্যথা দূর করে, একজিমাতে কাজ করে ও ত্বকের জন্য উপকারী।
- নয়ন তারা : কৃমি-নাশ করে, লুকেমিয়া, বহুমূত্র রোগ উপশম এ ব্যবহৃত হয়।
- চিটকি : মুখের ভেতর ক্ষত সারাতে পাতার রস দিয়ে দিনে দুইবার গড়গড়া করলে আরোগ্য হয়। পাতার পেস্ট ফোড়ায় সাত দিন লাগালে ভালো হয়। এর পাতার রস ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
- আকন্দ : ছাল, পাতা, মূল বিভিন্ন রোগে ব্যবহৃত হয়। যেমন - শ্বাস কষ্ট, পাকস্থলীর ব্যথা, পাইলস, কৃমিনাশ ইত্যাদি।
- বহেড়া : বহেড় ফল পেটের পীড়া, অর্শ, কোষ্ঠকাঠিন্য, ম্যালেরিয়া ও জ্বরে ব্যবহার যোগ্য। এই ফল হৃদপিণ্ড ফুসফুস, গলার রোগ, অজীর্ণতার ভালো ঔষধ। বীজ থেকে প্রাপ্ত তেল মাথা ঠাণ্ডা রাখে ও চুল পড়া রোধ করে।
- লেমন বাম : এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ও প্রদাহ রোধী, দুশ্চিন্তা কমায়, ঠাণ্ডা জনিত রোগে এর পাতা দিয়ে চা বানিয়ে খাওয়া হয়।
- জবা : জন্ডিসের জন্য জবা পাতা খেতে হয়। চুলের বৃদ্ধির জন্য তেলের সাথে পাতার রস মিশিয়ে ব্যবহার করতে হয়।
- রিফিউজি লতা : কাটা স্থানে পাতা পেস্ট করে লাগালে রক্তপাত বন্ধ হয়। জন্ডিস, পাকস্থলী ও মূত্রনালীর সমস্যায় এই পাতার রস উপকারী।
- বিলাতী ধনিয়া : পেটের ব্যথা ও ডায়রিয়া উপশমে কার্যকরী। ঘা পাঁচড়ার জন্য পাতা বেটে লাগালে উপকার হয়।
- বন টেপারী : মুখের ঘা, হার্টের সমস্যা রোধ করে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
- চুইঝাল : এটি ঘুমের ঔষধ হিসেবে কাজ করে। গ্যাস্ট্রিক, কোষ্ঠকাঠিন্যে, পাকস্থলী ও অন্ত্রের প্রদাহে, কাশি, শ্বাসকষ্টে, ডায়রিয়া ও রক্তস্বল্পতায় ব্যবহৃত হয়।
- চুকাই : অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, হৃদরোগ, ক্যান্সার ও স্নায়ু রোগে উপকারী।
- বিষকাটালী : পেটের ব্যথায় শিকড়ের রস ব্যবহৃত হয়, মুখের ঘা, শরীর ফোলা ও দুশ্চিন্তা মুক্তিতে উপকারী।
- কাঁটানটে : সর্দি-কাশি, মাথা ব্যথা সারাতে এর শিকড় চেঁছে রস খেতে হয়। পেট জ্বলা দূর করে।
- শিয়ালমুত্রা : কলেরা, ফিতা কৃমি, জ্বর সারাতে এই গাছ উপকারী।
- পুইশাক : হার শক্ত করে, বদহজম ও এসিডিটি দূর করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলস দূর করে।
- সন্ধ্যা মালতী : এর পাতা প্রদাহ কমাতে এবং ক্ষতের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
- ঝুমকোলতা : কৃমি ও জীবাণু ধ্বংস করে, কাশি, অ্যাজমা ও অ্যালার্জি দূর করে, সুনিদ্রা আনয়ন করে।
- বড় দুধিয়া : দুই থেকে তিনদিন বড় দুধিয়া খেলে কৃমিনাশ হয়, খোসপাঁচড়ায় রস লাগালে ভালো হয়।
- আমরুল শাক : আমাশয় নাশক, হজম কারক, মুখের রুচি বাড়ায়, চুলকানি ও পাঁচড়া নিরাময়ে আমরুল পাতার রস গায়ে মাখলে উপকার হয়।
- নাগরমুথা : রক্তকে বিশুদ্ধ করে, রক্তের অক্সিজেন বহন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং কোষের কলায় অক্সিজেন পৌঁছানোর ব্যবস্থাকে উন্নত করে।
- ক্যালেনডুলা : জ্বালাপোড়া, ছত্রাক বিরোধী গুণাগুণ বিদ্যমান, ব্যথা থেকে উপশম করে।
বাংলাদেশের ঔষধি গাছের তালিকা
- তুলসী : সর্দি-কাশি, কৃমি হলে পাতার রস খেলে উপশম হয়। তুলসী পাতার চা নিয়মিত খেলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে।
- পুদিনা : নাক বন্ধ হওয়া কমায়, কাশি দূর করে, শ্বাসকষ্টে আরাম হয়, জীবাণু রোধী ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণাগুণ সম্পন্ন। হাঁপানি এবং পেটের ব্যথাও কমায়।
- দূর্বাঘাস : রক্তক্ষরণ, কেটে গেলে ও চর্মরোগে এই ঘাসের রস উপকারী। কেটে গেলে এই পাতার রস লাগালে দ্রুত রক্তপাত বন্ধ হয়।
- পান পাতা : দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে, সর্দি-কাশি সারাতে, হজম ক্ষমতা বাড়াতে, শরীরের দুর্গন্ধ দূর করতে ব্যবহৃত হয়।
- গাঁদা : ফোসকা, ফোড়ায় এই ফুল বেটে ব্যবহার করলে উপশম হয়।
- মানকচু : বাত ব্যথায় উপকারী, রক্ত পরিষ্কারক, হজমের সহায়তা করে, রক্তশূন্যতা দূর করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমায়।
- পাথরকুচি : পুরনো সর্দি, মূত্রনালীর সংক্রমণে, শিশুদের পেট ব্যথায়, মূত্রথলির পাথর সারাতে, পাথরকুচি পাতার রস ব্যবহার হয়। কোন ক্ষত, মাংসপেশি থেঁতলে গেলে, বিষাক্ত পোকামাকড় কামড়ালে এই পাতার রস লাগালে উপকার হয়।
- তেজপাতা : মুখের অরুচি দূর করে, তেজপাতার সিদ্ধ পানিতে গোসল করলে চর্মরোগ ও অ্যালার্জি জনিত সমস্যা দূর হয়।
- থানকুনি : পেটের অসুখে থানকুনি কার্যকরী। এর পাতা হজম শক্তি বাড়ায়, কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, চুল পড়া কমায়, ক্ষত সারাতে সহায়তা করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
লেখকের মন্তব্য : ঔষধি গাছের নাম ও উপকারিতা - ঔষধি গাছের নামের তালিকা
প্রকৃতিতে অসংখ্য উপকারী উদ্ভিদ পাওয়া যায়। এসব উদ্ভিদ আমাদের অনেক উপকারে আসে, বিভিন্ন রোগ বালাই দমন করে। কিন্তু আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, কারণ কিছু কিছু গাছের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও রয়েছে। তাই উপকারী গাছ ব্যবহারের সঠিক নিয়ম মেনে ব্যবহার করতে হবে।
সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে ডাক্তারের পরামর্শ অবশ্যই নিবেন। এইসব ঔষধি গাছ-গাছড়া ব্যবহার করার মাধ্যমে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। প্রিয় পাঠক আজকে আমরা আপনাকে জানালাম ঔষধি গাছের নামের তালিকা, বাংলাদেশের ঔষধি গাছের তালিকা এবং ঔষধি গাছের নাম ও উপকারিতা সম্পর্কে। এরকম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট প্রতিদিন ভিজিট করুন।
দি প্লেনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url