বাংলাদেশে মাশরুম চাষ পদ্ধতি

মাশরুমের তৈরি টুথপেস্টের উপকারিতা জানুনসম্মানিত পাঠক, আজকে আমরা মাশরুম কি, বাংলাদেশে মাশরুম চাষ পদ্ধতি, মাশরুম বীজের দাম, মাশরুম চাষের ট্রেনিং কোথায় হয় সে সম্পর্কে আলোচনা করব।
মাশরুম চাষ পদ্ধতি
এছাড়া আমরা আজকে জানব মাশরুম কত প্রকার কি কি, মাশরুম বীজ তৈরির পদ্ধতি, ওয়েস্টার মাশরুম চাষ পদ্ধতি, ওয়েস্টার মাশরুম এর উপকারিতা এবং মাশরুম চাষের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে।

ভূমিকা

আমরা কমবেশি সকলেই মাশরুম এর সাথে পরিচিত। মাশরুমের বৈজ্ঞানিক নাম হলো আগারিকাস বিসপরাস। মাশরুম খাওয়ার এবং চাষের উপকারিতা এবং চাহিদা অনেক বেশি। এজন্য নিজের ঘরেই মাশরুম চাষ করা যেতে পারে। তাই আমাদের মাশরুম চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান রাখতে হবে।

মাশরুম কি

মাশরুম একপ্রকার ছত্রাক। এটি ভূগর্ভস্থ মাইসেলিয়াম হতে তৈরি হয়। প্রকৃতিতে প্রায় ৩৮ হাজার মাশরুম রয়েছে। তার ভেতর ২০০০ মাশরুম খাওয়ার উপযুক্ত। এরমধ্যে অনেক ঔষধি গুণ সম্পন্ন এবং পুষ্টিকর ও সুস্বাদু মাশরুম রয়েছে।

মাশরুম কত প্রকার ও কি কি

পৃথিবীতে বহু সংখ্যক মাশরুম রয়েছে। কিন্তু সবগুলো খাবার উপযুক্ত নয়, কিছু কিছু মাশরুম অনেক বিষাক্ত হওয়ার কারণে এটি খেলে কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। বাংলাদেশ এবং ভারতে সাধারণত ৫ থেকে ৬ প্রকারের মাশরুম চাষ করা হয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য মাশরুম হলো -

গ‍্যানোডার্মা বা ঋষি মাশরুম : এই মাশরুম কে বলা হয় হারবালের রাজা। এই মাশরুমটি দেখতে লাল রঙের হয়ে থাকে। এই মাশরুম সরাসরি খাওয়া যায় না। তবে এটি প্রক্রিয়াজাত করে পাউডার আকারে পাওয়া যায়, যা খাওয়ার উপযোগী। এই মাশরুম বিভিন্ন কসমেটিক্স এ ব্যবহার করা হয়। গ‍্যানোডার্মা বা ঋষি মাশরুম প্রায় ৪০০ প্রকার রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে।
বাটন মাশরুম : এই মাশরুম সবজি হিসেবে অনেক জনপ্রিয়। এই মাশরুম শীতকালে চাষ করা হয়। বাটন মাশরুম চাষ করতে পরিশ্রম এবং অনেক অর্থ ব্যয় করতে হয়। তবে এই মাশরুমের চাহিদা এবং মূল্য অনেক বেশি। এই মাশরুম দেখতে কিছুটা বোতামের মতো। তাই একে বোতাম বা বাটন মাশরুম বলা হয়। এই মাশরুমের কালার হালকা ধূসর রঙের।

মিল্কী বা সাদা মাশরুম : এই মাশরুম এর রং সাদা। আকর্ষণীয় হওয়ায় মিল্কী মাশরুমের চাহিদা এবং দাম উভয়ই বেশি। এই পুষ্টিকর মাশরুমের বিভিন্ন জাত ভারতে উদ্ভাবন করা হয়েছে।

ওয়েস্টার মাশরুম : এটি আমাদের দেশে খুবই জনপ্রিয় একটি মাশরুম। এটির ২৫ টি প্রজাতি আমাদের দেশে উৎপাদন করা হয়। প্রায় সারা বছরই বিভিন্ন জাতের ওয়েস্টার মাশরুম পাওয়া যায়।

স্ট্র মাশরুম : একে খড় মাশরুমও বলা হয়। এই মাশরুম সাধারণত মার্চ মাস হতে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট সাত মাস চাষ করা যায়।

মাশরুম চাষের প্রয়োজনীয়তা

মাশরুমে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন ভিটামিন এবং আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে যা আমাদের পুষ্টি-হীনতা দূর করে। শরীরে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বহু গুণে বাড়িয়ে দেয়। অন্যান্য সবজির তুলনায় মাশরুমে বহু গুনে পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। শুধু শরীরের ক্ষেত্রেই এটি উপকার করে না। এটির অর্থনৈতিক গুরুত্বও অনেক।
মাশরুম চাষ করে আমাদের দেশের বহু মানুষ লাভবান হয়েছে এবং হচ্ছে। তাই আমাদের দেশের বেকার মানুষের জন্য মাশরুম চাষের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। এজন্য আমাদের মাশরুম চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানতে হবে এবং প্রশিক্ষণ নিতে হবে। চলুন মাশরুম চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

বাংলাদেশে মাশরুম চাষ পদ্ধতি

মাশরুম চাষ করতে তেমন কোন খরচ করতে হয় না। স্বল্প খরচেই মাশরুম চাষ করা যায়। চলুন মাশরুম চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নেই। প্রথমে আমাদের বেশ কিছু খড় বা বিচুলি দরকার, যে পরিমাণ মাশরুমের সিলিন্ডার বা বেড তৈরি করবেন সেই পরিমাণ খড় বা বিচুলি নিতে হবে। এই খড় এক থেকে দেড় ইঞ্চি করে কোন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে নিতে হবে।

কেটে নেওয়া হয়ে গেলে খড়গুলো একটি বস্তায় ভরে নিতে হবে। তারপর একটি ড্রামে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পানি ভরে নিতে হবে। পানিতে পরিমাণ মতো চুন এবং ব্লিচিং পাউডার দিতে হবে। এই পানিতে খড় ভর্তি বস্তা ডুবাতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে পুরো বস্তা যেন পানিতে ডুবে থাকে। এক্ষেত্রে বস্তার উপরে ভারী কোন বস্তু যেমন ইট বা পাথর চাপিয়ে রাখতে পারেন।
চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা এভাবে ভিজিয়ে রাখার পর খড় গুলো বের করতে হবে। বের করার পর রোদে বা ছায়াতে শুকাতে দিতে হবে। এক্ষেত্রে রোদে শুকাতে দিলে খড়গুলো একটু পর পর হাত অথবা পা দ্বারা নাড়াচাড়া করতে হবে, তা না হলে খড়ের স্তরের উপরের দিকে শুকনা এবং নিচের দিকে ভেজা থেকে যাবে। তাই রোদে না শুকাতে দেওয়াই ভালো। 

আর ছায়াতে শুকাতে দিলে একটু বেশি সময় লাগলেও সম্পূর্ণ স্তরগুলো সব দিক থেকেই শুকিয়ে যায়। খেয়াল রাখতে হবে খড় বা বিচুলিতে মাছি বা অন্যান্য পোকামাকড় যেন না বসে। মাছি যদি ডিম পাড়ে তাহলে মাছির লার্ভা মাশরুমের মাইসেলিয়াম গুলো খেয়ে ফেলবে। একটু শুকনো হলেই হাত দিয়ে খড়গুলো চেপে দেখতে হবে যে, এখান থেকে পানি টপটপ করে পড়ছে কিনা।

খড়গুলো হাত দিয়ে চাপার পর যখন দেখবেন সেখান থেকে পানি বের হচ্ছে না এবং হাতেও লেগে যাচ্ছে না তাহলে বুঝে নিবেন আপনার খড়গুলো প্রস্তুত হয়ে গেছে। তবে খেয়াল রাখতে হবে খড়ে হালকা ভেজা ভেজা ভাব কিন্তু অবশ্যই থাকতে হবে। পুরোপুরি শুকনো হয়ে গেলে চলবে না। এরপর বিচুলিতে শুকনো চুন এবং ফাঙ্গিসাইড ব্যবহার করা হয়, যাতে ফাঙ্গাস অ্যাটাক করতে না পারে। 

তারপর মাশরুমের বীজ অথবা স্পন বাজার থেকে বাজে কোন মাধ্যমে নিয়ে আসতে হবে। স্পন বা মাশরুমের বীজ ছাড়া মাশরুম তৈরি হবে না বা জন্মাবে না। যেই মাশরুমের চাষ করতে চান, সেই মাশরুমেরই স্পন ব্যবহার করতে হবে। 

যতগুলো মাশরুমের সিলিন্ডার বেড তৈরি করবেন ততগুলো বড় এবং শক্ত পলিথিন নির্বাচন করতে হবে। পলিথিনের নিচের অংশ মেয়েদের শাড়ির মতো কুচি কুচি করে নিয়ে সেখানে গাডার দিয়ে বাধতে হবে এবং পলিথিনটি উল্টো করে নিতে হবে। এতে মাশরুমের বেডটি গোলাকার এবং সঠিক আকার ধারণ করবে।
মাশরুম চাষ পদ্ধতি
পলিথিনটিতে প্রথমে খড় এক থেকে দেড় ইঞ্চি ভর্তি করতে হবে। এরপর মাশরুমের স্পনগুলো প্যাকেটের গা দিয়ে গা দিয়ে অর্থাৎ ধারে ধারে বিছিয়ে দিতে হবে।
মাশরুম চাষ পদ্ধতি
এরপর আবার তার উপর খড় দিতে হবে। এভাবে চার থেকে পাঁচটি লেয়ার তৈরি করা যায়। প্রতিবার লেয়ার তৈরি করার শেষে বারবার হাত দিয়ে খড়গুলো চেপে চেপে দিতে হবে যাতে হাওয়া বাতাস ভিতরে না থাকতে পারে। প্রতিটি লেয়ার দেড় থেকে ২ ইঞ্চি পর্যন্ত হতে পারে।

চার থেকে পাঁচটি লেয়ার দেওয়া হয়ে গেলে ভালোভাবে প্যাকেটের মুখ গাডার দিয়ে আটকে দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে মাশরুমের সিলিন্ডার বা বেডে কোন জায়গায় ফাঁকা না থাকে। এরপর সিলিন্ডারে উপরে মাঝখানে এবং নিচের দিকে কলম দিয়ে একটি করে ফুটো করে দিতে হবে। এভাবে সিলিন্ডারের চারদিকে বা ছয় দিকে ফুটো করতে হবে। এতে সিলিন্ডারে থাকা হাওয়া ও বের হয়ে যাবে।
মাশরুম চাষ পদ্ধতি ২০২৪
তারপর মাশরুম চাষের জন্য প্রস্তুত আপনার সিলিন্ডার বা বেড। এইসব বেড গুলো উঁচু নিরাপদ স্থানে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। এরকম একটি বেড তৈরি করতে ৫০ থেকে ৬০ টাকা খরচ হয়। একটি সিলিন্ডার থেকে খরচ বাবদ এর দ্বিগুণ লাভ হয়ে থাকে। এই বেডগুলো ১৫ থেকে ২০ দিনের মাথায় সাদা হতে শুরু করবে এবং তারপর থেকে প্রতিদিন সকাল বিকাল অথবা তিন বেলা পানি স্প্রে করতে হবে।

২৮ থেকে ৩০ দিন পর মাশরুম বের হতে শুরু করবে। এরকম ২০ থেকে ২৫ টি মাশরুমের সিলিন্ডার নিয়ে চাষ শুরু করতে পারেন। মাশরুম চাষের জন্য অন্ধকার স্যাঁতস্যাঁতে ঘর প্রয়োজন হয়। পরিবেশ ঠাণ্ডা এবং স্যাঁতস্যাঁতে হলে মাশরুম এর উৎপাদন বা ফলন বেশি হয়।

তবে মিল্কী মাশরুমের ক্ষেত্রে আলোর প্রয়োজন হয়। একেক মাশরুমের সামান্য কিছু চাষের পদ্ধতির তফাৎ রয়েছে। যেখানে মাশরুম চাষের ট্রেনিং করানো হয়, সেখান থেকে ট্রেনিং প্রাপ্ত হয়ে মাশরুম চাষ শুরু করলে একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়া সম্ভব।

মাশরুম চাষের ট্রেনিং কোথায় হয়

ঢাকার মৌচাকে মুকুল টাওয়ারে একটি সরকারি ট্রেনিং সেন্টার অবস্থিত। এছাড়া বাংলাদেশ এবং ভারতে বিভিন্ন বেসরকারি ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে যেখান থেকে মাশরুম চাষ পদ্ধতি হাতে-কলমে শেখানো হয়। এছাড়া ঘরে বসে অনলাইন প্লাটফর্মে বিভিন্ন উদ্যোক্তার ভিডিও দেখে মাশরুম চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যায়।

মাশরুম বীজ তৈরির পদ্ধতি

মাশরুম চাষে লাভবান হতে হলে মাশরুম বীজ এর মান অত্যন্ত ভালো হতে হবে। মাশরুম বীজের মান যদি খারাপ হয় তাহলে পরিশ্রম এবং অর্থ উভয়ই কোন কাজে লাগবে না। মাশরুম বীজ এর মান খারাপ হওয়ার কারণে অনেকেই মাশরুম চাষ থেকে দূরে সরে যান, তার থেকে কোন ভালো ফলাফল না পাওয়ার কারণে।
আমাদের সমাজে বিভিন্ন পদ্ধতিতে মাশরুমের বীজ বা স্পন তৈরি করার পরামর্শ অনেকেই দিয়ে থাকে। আমাদের মতে শুরুতে বাসায় মাশরুম বীজ তৈরির পরিকল্পনা না করাই ভালো, কেননা এতে ভালো ফলাফল নাও পাওয়া যেতে পারে।

এজন্য সঠিক কোন উদ্যোক্তা অথবা প্রতিষ্ঠান থেকে বীজ বা স্পন সংগ্রহ করে মাশরুম চাষ পদ্ধতি শুরু করা প্রয়োজন। পরবর্তীতে তাদের থেকে মাশরুম বীজ তৈরির পদ্ধতি সম্পর্কে ভালোভাবে হাতে কলমে ট্রেনিং নিয়ে মাশরুমের বীজ তৈরি করতে পারেন।

মাশরুম বীজের দাম

বাজারে বিভিন্ন ধরনের মাশরুমের বীজ বা স্পন পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু সবগুলো বীজ বা স্পন ভালো ফলন দেয় না ত্রুটি থাকার কারণে। এজন্য সঠিক মাশরুমের বীজ সংগ্রহ করতে হবে। সঠিক মাশরুমের বীজ নির্বাচন করলে ভালো ফলন পাওয়া যায় এবং মাশরুম চাষের লাভবান হওয়া যায়। 

বর্তমানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে মাশরুম চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে শেখানো হয় এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম যেমন মাশরুম বীজ ইত্যাদি বিক্রি করা হয়। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে মাশরুম বীজ সংগ্রহ করে মাশরুম চাষ শুরু করতে পারেন।

বর্তমানে ৫০০ গ্রাম মাশরুমের বীজ বা স্পনের দাম ৩০ থেকে ৩৫ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। তবে মাশরুমের জাত ভেদে মাশরুমের বীজের মূল্য কমবেশি হতে পারে।

বাংলাদেশে মাশরুম চাষ পদ্ধতি - লেখক এর মন্তব্য

মাশরুমের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু সঠিকভাবে মাশরুম চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে না জানার কারণে এটির চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে না এবং অনেকে আগ্রহ হারাচ্ছে। মাশরুম চাষ করে অনেকেরই জীবন বদলে গেছে। কেননা তারা সঠিকভাবে মাশরুম চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে এবং ট্রেনিং নিয়ে মাশরুম চাষ শুরু করেছেন।

আমরা যারা বেকার মানুষ রয়েছি, তাদের জন্য মাশরুম চাষ খুবই ভালো একটি উপায় হতে পারে জীবিকা নির্বাহের জন্য।

সম্মানিত পাঠক আজকে আমরা বাংলাদেশে মাশরুম চাষ পদ্ধতি, মাশরুম কি এবং মাশরুম কত প্রকার কি কি, মাশরুম চাষের প্রয়োজনীয়তা, মাশরুম চাষের ট্রেনিং কোথায় হয়, মাশরুম বীজ তৈরির পদ্ধতি এবং মাশরুম বীজের দাম কত তা জেনেছি। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনার উপকার হয়ে থাকলে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

দি প্লেনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url