ডালিম এর উপকারিতা ও অপকারিতা - ডালিম ও বেদানার পার্থক্য

ডালিম ঔষধি গুণসম্পন্ন একটি উপকারী ফল তা আমাদের সকলেরই জানা। অনেকেই এই সুস্বাদু ফলটি খেতে চায় না। অথচ ডালিম খেলে মিলে অনেক উপকার। নিম্নে ডালিম এর উপকারিতা তুলে ধরা হলো।

আমরা অনেকেই শুধু ডালিম খেয়ে বীজ বা বিচিগুলো ফেলে দেই। অথচ ডালিমের বিচির উপকারিতাও আছে। ডালিমের বিচিতে অনেক ফাইবার রয়েছে। ডালিমের বিচি থেকে তেল বানানো হয় এবং এটিতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

ডালিম বা বেদানা রক্তে হিমোগ্লোবিন এর মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। আমরা অনেকেই শরীরে রক্ত বাড়ানোর জন্য ডালিম খেয়ে থাকি। কারণ এটা আমাদের অনেকেরই জানা যে, ডালিম খেলে রক্ত বাড়ে। 

আমরা জানি শরীরে আয়রন ও হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়লে রক্ত শূন্যতা দূর হয়। ডালিমও ঠিক একই কাজ করে থাকে। কেননা ডালিমে আছে প্রচুর পরিমাণ আয়রন এবং এটি হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়।

এখন পর্যন্ত তো আমরা ডালিমের উপকারিতা সম্পর্কে জানলাম। চলুন এবার জেনে নেয়া যাক ডালিম এর অপকারিতা গুলো।

প্রত্যেকটি কাজই আমাদের নিয়ম অনুযায়ী করা উচিত। তেমনি ডালিম নিয়ম অনুযায়ী খাওয়া উচিত। এই সুস্বাদু খাবারটি অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়। যেকোনো ফল খাবার পর পানি খাওয়া উচিত নয়। এতে হজমের সমস্যা হতে পারে। 

ডালিম এমনি খোসা ছাড়িয়ে খেতে পারেন অথবা জুস বানিয়েও খেতে পারেন। ডালিম এর জুস বানানোর পরে বেশিক্ষণ না রেখে দেওয়াই ভালো। কেননা এতে থাকা ভিটামিন সি ভেঙ্গে যায়। সর্বোপরি শারীরিক কোন সমস্যা থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ডালিম বা বেদানা খাবেন অথবা এড়িয়ে চলবেন। কেননা কারো কারো জন্য উপকারিতার পাশাপাশি ডালিম এর অপকারিতা ও রয়েছে।

ডালিম এমন একটি ফল যা সারা বছরই আমাদের দেশে পাওয়া যায়। তাই সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন এই ফল খাওয়া উচিত। তবে আমাদের দেশে বাণিজ্যিকভাবে ডালিম বা বেদানার চাষ হলেও এটির মূল্য অনেক বেশি। তাই সাধারণ মানুষ এটি কিনে খেতে পারে না।

বর্তমানে ডালিমের মূল্য ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা প্রতি কেজি বা অবস্থানভেদে আরও বেশি হতে পারে। এজন্য আমাদের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে এটি আমরা চাষ করতে পারি। পাঠক আমরা ডালিম এর অপকারিতা, ডালিম এর উপকারিতা, ডালিম খাওয়ার নিয়ম, ডালিম খেলে কি রক্ত বাড়ে, ডালিমের বিচির উপকারিতা, ডালিম ও বেদানার পার্থক্য জানলাম।