কম্পিউটারের উপকারিতা ও অপকারিতা - শিক্ষা ক্ষেত্রে কম্পিউটারের অবদান

মোবাইল ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতাসম্মানিত পাঠক, আপনি কি কম্পিউটারের উপকারিতা ও অপকারিতা, শিক্ষা ক্ষেত্রে কম্পিউটারের অবদান, আধুনিক কম্পিউটারের জনক কে ইত্যাদি কম্পিউটার বিষয় নিয়ে জানতে চান। তাহলে এই পোস্টটি পড়ুন।
কম্পিউটারের উপকারিতা ও অপকারিতা
যেখানে আমরা আরও তুলে ধরব কম্পিউটার পরিচিতি, কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য, কম্পিউটারের প্রকারভেদ এবং আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরব যা সকলের জন্য জানা দরকার।

ভূমিকা

আধুনিক যুগে বিজ্ঞানের বিস্ময়কর আবিষ্কার হল কম্পিউটার। কম্পিউটার এমন অত‍্যাশ্চর্য আবিষ্কার যে, এর নামানুসারে যুগের নামকরণ করা হয় - কম্পিউটার যুগ। এর ব্যবহার বহুমুখী। শিক্ষা ক্ষেত্রেও রয়েছে কম্পিউটারের বিরাট ভূমিকা।

জ্ঞান বিজ্ঞানের নানা তথ্য, মুদ্রণ কর্ম, চিকিৎসাবিদ্যা থেকে শুরু করে পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা পর্যন্ত আধুনিক শিক্ষার সকল ক্ষেত্রেই রয়েছে কম্পিউটারের অবাধ বিচরণ। এ কম্পিউটার আবিষ্কারের ফলে আমাদের শিক্ষা ও সভ্যতা আরও একধাপ এগিয়ে গেছে। বলা হয় গত শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার কম্পিউটার।

কম্পিউটার পরিচিতি

কম্পিউটার শব্দটির বাংলা অর্থ গণনাযন্ত্র। এর উৎস হল ইলেকট্রন। কম্পিউটার ইলেকট্রনিক্স নির্ভর একটি যন্ত্র, যে যন্ত্রটি নির্ভরযোগ্য তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্রকাশ করে। কম্পিউটার মানুষের জন্য অত্যন্ত সময় সাপেক্ষ অতি জটিল সমস্যাগুলো দ্রুত সম্পন্ন করে। 
কাজের গতি বিশুদ্ধতা ও নির্ভরযোগ্যতার দিক থেকে কম্পিউটারের ক্ষমতা মানুষের চেয়ে বেশি উন্নত। টাইপরাইটার, লাইন প্রিন্ট, কার্ড-রিডার, কার্ড পাঞ্চিং, ম‍্যাগনেটিক টেপ, ট্রানজিস্টার ও মার্কিং সর্বাধুনিক গণনামূলক ব্যবস্থায় হচ্ছে কম্পিউটার।

আধুনিক কম্পিউটারের জনক কে?

আধুনিক কম্পিউটারের জনক কে তা নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। তবে কম্পিউটারের প্রাথমিক ধারণা সৃষ্টি হয় ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক চার্লস ব্যাবেজের একটি গণক যন্ত্র থেকে। ধাতব পদার্থ দিয়ে তিনি তাঁর গণক যন্ত্রটি তৈরি করেন।
চার্লস ব্যাবেজ ১৮৩৩ সালে অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন নামে যান্ত্রিক কম্পিউটার তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এবং ইঞ্জিনের নকশা তৈরি করেন। তিনি তাঁর যন্ত্র তৈরির জন্য সরকারি অনুদান লাভ করেন। 

তাঁর অ‍্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিনের পরিকল্পনায় আধুনিক কম্পিউটারের ধারণা ছিল। এজন্য চার্লস ব্যাবেজকে কম্পিউটারের জনক বলা হয়। তবে তাঁর ধারণা বা পরিকল্পনা কার্যকর হতে সময় লেগেছে এক শতাব্দী।

মার্কিন বিজ্ঞানী হাওয়ার্ড আইকেন ১৯৪৬ সালে আবিষ্কার করেন বর্তমানের স্বয়ংক্রিয় ইলেকট্রনিক্স কম্পিউটার। এজন্য তাঁকে কম্পিউটারের আবিষ্কারক বলা হয়। গঠন ও আকৃতিতে এসেছে বর্তমানকালে অভিনবত্ব। এর বিচরণ ক্ষেত্রে এসেছে ব্যাপকতা।

কম্পিউটারের প্রকারভেদ

কার্যপ্রণালীর ওপর ভিত্তি করে কম্পিউটারকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন -
  • অ‍্যানালগ কম্পিউটার
  • ডিজিটাল কম্পিউটার
  • হাইব্রিড কম্পিউটার

কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য

কম্পিউটার হচ্ছে কাজের মগজ। এর ডিস্ক নামক একটি স্মৃতি ভাণ্ডার রয়েছে। স্মৃতি ভাণ্ডারে কাজ ও কাজের পদ্ধতি দেওয়া থাকবে। কাজকে বলা হয় তথ্য আর পদ্ধতিকে বলা হয় প্রোগ্রাম। কম্পিউটারের মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তথ্য ও প্রোগ্রাম বদলে দিয়ে অন্য কাজ করা যায়।
কম্পিউটারের সুষ্ঠু প্রয়োগ পদ্ধতি চারটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। যথা - অত্যন্ত দ্রুত গণনা করার ক্ষমতা, বিপুল-সংখ্যক তথ্য সংঘবদ্ধ করার ক্ষমতা, ভ্রম শূন্যতা এবং তথ্য ও প্রোগ্রাম অনুযায়ী কাজ করার ক্ষমতা। 

কম্পিউটারের কাজ করার গতি হিসাব করা হয় ন্যানো সেকেন্ডে। ন্যানো সেকেন্ড বলা হয় এক সেকেন্ডের একশত কোটি ভাগের একভাগ সময়কে। একটি সাধারণ যোগ করতে কম্পিউটারের সময় লাগে ৫০ ন্যানো সেকেন্ড। অতএব কম্পিউটার এক সেকেন্ডে ঐরকম দুই কোটি যোগ করতে পারে।

কম্পিউটারের উপকারিতা ও অপকারিতা

মানব জীবনে কম্পিউটারের উপকারিতা ও অপকারিতা লক্ষ্য করা যায়। কম্পিউটারের উপকারিতা যেমন রয়েছে, ঠিক তেমনই এর বেশ কিছু অপকারিতা বা ক্ষতিকর দিক রয়েছে। তো চলুন জেনে নেই কম্পিউটারের উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো।

কম্পিউটারের উপকারিতা

কম্পিউটার মানুষকে তাদের কাজের ক্রমধারায় যুগ যুগ সময় এগিয়ে দিয়েছে। যে কাজ মানুষকে দিনের পর দিন করতে হতো, কম্পিউটার তা নির্ভুলভাবে এক নিমিষেই করে দিচ্ছে। ফলে সময় ও শ্রম দুটোই বাঁচানো যাচ্ছে। আজকের যুগে সময় সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। কারণ মানবজীবন সীমিত।

কম্পিউটার মানুষের সীমিত সময়ে বেশি কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে। সুতরাং কম্পিউটার হল সময় বাঁচানোর ও উন্নয়নের গতিবেগ সম্পন্ন যন্ত্র।

বাংলাদেশে আশির দশকের শেষ দিকে কম্পিউটার ব্যাপক প্রসার লাভ করেছে। অফিস ব্যবস্থাপনা, রেকর্ড সংরক্ষণ, প্রকাশনা ইত্যাদি ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহৃত হচ্ছে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ সব প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ব্যবহৃত হচ্ছে। কম্পিউটারের গুরুত্ব অনুধাবন করে মফস্বলের স্কুল, কলেজগুলোতেও এখন তা সিলেবাস-ভুক্ত করা হয়েছে।

কম্পিউটার গণনাকারী যন্ত্র হিসেবে আবিষ্কৃত হলেও আজকের দিনে তা সকল কাজের উপযোগী হয়ে উঠেছে। ব্যবসায় বাণিজ্যের সাধারণ হিসাব থেকে শুরু করে মহাকাশ গবেষণায় তা কাজে লাগানো হচ্ছে। কম্পিউটার এখন প্রযুক্তিবিদ্যা, মহাকাশ বিজ্ঞান, কৃষি, রসায়ন, চিকিৎসাশাস্ত্র, পদার্থ বিজ্ঞান এক কথায় জীবনের সর্বক্ষেত্রেই এর ব্যবহার অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।

একজন বেকার যুবক কম্পিউটার শিখে সহজেই তার বেকারত্ব দূর করতে পারে। কম্পিউটারে দক্ষতা অর্জন করলে নিম্নলিখিত পদগুলোতে চাকরি পাওয়া যায় -
  • ডাটা এন্ট্রি অপারেটর
  • কম্পোজ অপারেটর
  • অপারেটর
  • ডিজাইনার
  • ইনস্ট্রাক্টর
  • শিক্ষক
  • হার্ডওয়‍্যার ইঞ্জিনিয়ার
  • প্রোগ্রামার
  • সিস্টেম অ্যানালিস্ট ইত্যাদি।
এছাড়াও আমাদের দেশে লক্ষ লক্ষ তরুণ-তরুণী কম্পিউটারের সাহায্যে ফ্রিল্যান্সিং করে প্রচুর টাকা আয় করতেছে। নিজে উদ্যোক্তা হয়ে অপরকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিতে সক্ষম হচ্ছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে বা যে কোন শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রেই কম্পিউটার তাকে দেশ-বিদেশের জ্ঞান আহরণের দ্বার উন্মোচন করে দেয়।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নামকরা লাইব্রেরিগুলো থেকে তথ্য আহরণ করে নিজের জ্ঞানভাণ্ডার সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করে।

কম্পিউটারের অপকারিতা

কম্পিউটার যে সভ্যতাকে গতিশীল করার যন্ত্র তাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু কম্পিউটারের কোন অলসতা বা ক্লান্তি নেই। ফলে সে দুনিয়ার সব কাজ একসাথে করে ফেলতে পারে। মানুষের স্থলে যদি একটি কম্পিউটারই যথেষ্ট হয়, তাহলে সে কম্পিউটার ১০ জনকে বেকার করে ফেলল। ব্যাংক, বীমা, অফিস-আদালতে কম্পিউটারের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। 

যদিও কম্পিউটার পরিচালনার জন্য কিছু লোক দরকার হয়, তবুও এর কারণে বেকার হয়ে পড়ে অনেক বেশি। এজন্য অনেকে কম্পিউটারকে শ্রমিক উৎখাতের যন্ত্র বলেন। এছাড়া ছোট থেকে বড় সবাই কম্পিউটার গেমসে আসক্ত হয়ে মূল্যবান সময় নষ্ট করে থাকে।

আবার এই কম্পিউটার ব‍্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের সাইবার হামলা করা হয়, অনেকের মূল্যবান সম্পদ হাতিয়ে নিয়ে থাকে হ‍্যাকাররা। এজন্য আমাদেরকে সচেতন হতে হবে ও কম্পিউটারের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে।

শিক্ষা ক্ষেত্রে কম্পিউটারের অবদান

শিক্ষা ক্ষেত্রে কম্পিউটারের অবদান অপরিসীম। কম্পিউটার শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নতির চুড়ায় পৌঁছে দিয়েছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে কম্পিউটারের অবদান গুলো হল -

শিক্ষা উপকরণ সংরক্ষণ : বর্তমানে জ্ঞান রাজ্যে বিচরণের অবাধ ক্ষেত্র হল কম্পিউটার। এতে শিক্ষার বিভিন্ন উপকরণ যেমন : বই, পত্রিকা, সাময়িকী ইত্যাদির ইন্টারনেট সংস্করণ জমা রেখে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের মানুষ সহজেই পড়ে নিতে পারে। এমনকি পৃথিবীর সর্ববৃহৎ লাইব্রেরিটিও মাত্র একটি কম্পিউটারের মধ্যে অনায়াসে ঢুকিয়ে রাখা যায়।

চিকিৎসা বিদ্যা শিক্ষা : চিকিৎসা ক্ষেত্রে কম্পিউটার এক অভাবনীয় বিপ্লব সাধন করেছে। আগে মেডিকেলের ছাত্র ছাত্রীদের রোগ নির্ণয়ের পদ্ধতি ও কৌশল জানতে অনেক সময় ও শ্রম ব্যয় হতো। অথচ বর্তমানে কম্পিউটারের কল্যাণে অতি অল্প সময়ে জটিল ও কঠিন রোগ নির্ণয় করতে পারে।

বৈজ্ঞানিক তথ্য : বিজ্ঞান আধুনিক শিক্ষার একটি প্রধান অনুষঙ্গ। আর কম্পিউটারের মাধ্যমে বিজ্ঞানের নানা তথ্য সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা যায় অনেক সহজে। কম্পিউটার বিজ্ঞানের অনেক কঠিন সমীকরণ ও পরিসংখ্যান, গণিত ও বিভিন্ন ধরনের বিশ্লেষণের কাজে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ব্যাপকভাবে সাহায্য করে।

ভূগোল বিষয়ক শিক্ষা : কম্পিউটারের সাহায্যে ঘরে বসেই ভৌগোলিক জ্ঞান অর্জন করা যায়। পৃথিবীর কোন নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অবস্থান সম্পর্কে জানতে হলে কম্পিউটার স্ক্রিনে পৃথিবীর মানচিত্রের ওপর সেই স্থানে ক্লিক করলেই কম্পিউটারে সে স্থানের ভৌগোলিক অবস্থান, সময়, আয়তনসহ বিভিন্ন তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভেসে ওঠে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হিসাব রক্ষণ : শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হিসাবরক্ষক প্রতিষ্ঠানের খরচের হিসাবসহ শিক্ষক, কর্মচারী ও ছাত্রছাত্রীদের গুরুত্বপূর্ণ ডাটা কম্পিউটারে সংরক্ষণ করতে পারেন।

মুদ্রণ শিল্পে কম্পিউটার : আশির দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত আমরা সম্পূর্ণভাবে লেটার প্রেসের ওপর নির্ভরশীল ছিলাম। কিন্তু আশির দশকের পরবর্তীতে কম্পিউটারের সাহায্যে কম্পোজের কাজ শুরু হয়। বর্তমানে আমাদের দেশের দৈনিক পত্রিকাসহ সব ধরনের বিনোদন পত্রিকা, ম্যাগাজিন এবং বিভিন্ন ধরনের বই কম্পিউটারে কম্পোজ করা হয়। 

কম্পিউটারে কম্পোজ লেটার প্রেসের তুলনায় অনেক উন্নত ধরনের ও দ্রুততর। লেটার প্রেসে কাজ করা কষ্টসাধ্য ও অনেক সময়ের ব্যাপার ছিল। কিন্তু কম্পিউটার আবিষ্কারের ফলে এ বিষয়গুলো এখন অনেক সহজলভ‍্য।

পাঠদান : আধুনিক শিক্ষায় কম্পিউটার পাঠদানেও সহায়তা করে। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য উচ্চতর শিক্ষায় কম্পিউটারে ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নোট সংগ্রহ করতে পারে। এছাড়া কম্পিউটারে শব্দ ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে ছাত্র ছাত্রীদের হাতে কলমে ব্যবহারিক শিক্ষা দেওয়া সম্ভব। সুতরাং আপনারা বুঝতে পেরেছেন শিক্ষা ক্ষেত্রে কম্পিউটারের অবদান কতটা।

পরিকল্পনা প্রণয়ন : শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে নিজ নিজ কম্পিউটারে মাসিক ও বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা তৈরি করতে পারে এবং তা সংরক্ষণ করে সে মাফিক লেখাপড়া করতে পারে।

অভিধান ব্যবহার : কম্পিউটারে ইংরেজি ডিকশনারির পাশাপাশি বর্তমানে বাংলা অভিধানও সন্নিবেশিত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা এর মাধ্যমে জটিল শব্দের বানান অতি সহজেই জানতে পারে।

পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন : কম্পিউটারের সাথে অপটিক্যাল মার্ক রিডার (OMR) সংযুক্ত করে আজকাল স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করা হয়। এর মাধ্যমে মূল্যায়নটা যেমন নির্ভুল হয় তেমন সময়ও লাগে অল্প। বিশেষ করে কয়েক হাজার অবজেক্টিভ খাতাও মাত্র কয়েক মিনিটেই কম্পিউটারের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা যায়।

পরীক্ষার ফল প্রকাশ : আধুনিক শিক্ষায় কম্পিউটার যেসব যুগান্তকারী অবদান রেখেছে তার মধ্যে পরীক্ষার ফল প্রকাশ অন্যতম। ইতোমধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক পরীক্ষাসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ফলাফলও এ কম্পিউটারের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় এবং এ ফলাফল এতে সংরক্ষণও করা হয়।

উপরিউক্ত আলোচনার দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, কম্পিউটার আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার অন্যতম বাহক। আজকের উন্নত বিশ্বে কম্পিউটার ব্যবহার ছাড়া শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পন্ন করা প্রায় অসম্ভব।

এক কথায়, কম্পিউটার বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিশ্বের দরবারে চালকের আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। তাই শিক্ষা ক্ষেত্রে কম্পিউটারের অবদানকে অবশ্যই মূল্যায়ন করতে হবে।

FAQ: কম্পিউটারের উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর

1. কম্পিউটার কিভাবে শিক্ষা ক্ষেত্রে সহায়তা করে?

উত্তর: কম্পিউটারের মাধ্যমে আমরা ঘরে বসেই অনলাইনে পড়াশুনা করতে পারি, বিভিন্ন বিষয়ের ওপর কোর্স করতে পারি। এছাড়া কম্পিউটার যেকোনো তথ্য সহজেই খুঁজে পেতে সাহায্য করে।

2. কম্পিউটারের অপকারিতা গুলো কি কি?

উত্তর: অনেক সময় কম্পিউটার আমাদের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আমরা যারা কম্পিউটার অনেকক্ষণ ধরে ব্যবহার করি, আমাদের অনেক সময় বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। যেমন চোখের, মাজার, কাঁধের সমস্যা ইত্যাদি। এছাড়া অনেকে কম্পিউটারের প্রতি অনেকে আসক্ত হয়ে পড়ে।

3. বর্তমানে একটি ভালো মানের কম্পিউটারের দাম কত?

উত্তর: একটি ভালো মানের কম্পিউটার কিনতে গেলে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা প্রয়োজন। তবে খুব বেশি ভাল মানের কম্পিউটারের দাম লক্ষাধিক টাকা হয়ে থাকে।

লেখকের মন্তব্য: কম্পিউটারের উপকারিতা ও অপকারিতা - শিক্ষা ক্ষেত্রে কম্পিউটারের অবদান

কম্পিউটার বর্তমান বিশ্বের আশীর্বাদ হলেও এটির অপব্যবহার মানুষকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিতে পারে সেজন্য এটির সঠিক ব্যবহার করতে হবে। কম্পিউটারের মাধ্যমে আমরা অল্প সময়ে নানা ধরনের জরুরী সমস্যার সমাধান পেয়ে থাকি।
বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশ উন্নতির দিকে ধাবিত হতে পারে কম্পিউটার শিক্ষা ও ব্যবহারের মাধ্যমে। এর জন্য প্রয়োজন কম্পিউটার বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ জনশক্তি। তাই এ ব্যাপারে সবাইকে আরও তৎপর হতে হবে।

আমরা আজকে কম্পিউটারের উপকারিতা ও অপকারিতা, শিক্ষা ক্ষেত্রে কম্পিউটারের অবদান, কম্পিউটার পরিচিতি, আধুনিক কম্পিউটারের জনক কে, কম্পিউটারের প্রকারভেদ ও কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য জানলাম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
1 জন কমেন্ট করেছেন ইতোমধ্যে
  • নামহীন
    নামহীন ১ মে, ২০২৪ এ ১০:৩৫ PM

    অনেক উপকারী তথ্য দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

দি প্লেনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url