পাতলা পায়খানা বন্ধের উপায় ও ঔষধ এর নাম

পায়খানার সাথে রক্ত পড়া বন্ধের উপায়প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা পাতলা পায়খানা বন্ধের উপায়, পাতলা পায়খানা বন্ধের ঔষধ এর নাম, পাতলা পায়খানা হলে করণীয়, পাতলা পায়খানা হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে, পাতলা পায়খানা হলে ডিম খাওয়া যাবে, পাতলা পায়খানা হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে না ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করব।
কি খেলে পাতলা পায়খানা বন্ধ হয়
উপরোক্ত বিষয়গুলো ছাড়াও ঘন ঘন পায়খানা বন্ধ করার উপায়, ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হওয়ার কারণ ইত্যাদি সম্পর্কেও জানব।

সূচিপত্র: পাতলা পায়খানা বন্ধের উপায় ও ঔষধ এর নাম

.

ভূমিকা

হঠাৎ করেই পাতলা পায়খানার সমস্যা অনেকেরই দেখা দেয়। পেটে জীবাণুর আক্রমণের ফলে বা আরও অন্যান্য কারণেও পাতলা পায়খানা হতে পারে। পাতলা পায়খানা হলে বারবার টয়লেটে যেতে হয় এবং শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে।

সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে পাতলা পায়খানা হওয়া থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এজন্য আমাদের পাতলা পায়খানা বন্ধের উপায়, পাতলা পায়খানা বন্ধের ঔষধ এর নাম, ঘন ঘন পাতলা পায়খানা বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে। তো আসুন এসব বিষয়ে সব কিছু জেনে নেওয়া যাক।

ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হওয়ার কারণ

বিভিন্ন কারণে ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হতে পারে। বিশেষ করে হজমের সমস্যা থাকলে বা খাবার সঠিকভাবে হজম না হলে ঘন ঘন পায়খানার বেগ পায়। আমরা অনেক সময় বাহিরের খাবার খেয়ে থাকি, সেগুলো সঠিকভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না থাকলে জীবাণু বাসা বাধে, তারপর আমরা সেগুলো খাবার খেলে জীবাণুর আক্রমণের ফলে ডায়রিয়া অর্থাৎ ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হতে পারে।
অনেক সময় বমিও হতে পারে। খাবার ভালো করে রান্না না করলে বা সেদ্ধ না হলে পাতলা পায়খানা হওয়ার সমস্যাগুলো দেখা যায়। এছাড়া ক‍্যাম্পাইলোব‍্যাক্টার ও ক্লোস্ট্রিডিয়াম বোটুলিনাম ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের কারণে ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হয়। ফাইবার যুক্ত খাবার অতিরিক্ত গ্রহণ করলেও ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হতে পারে।

অনেক সময় খাদ‍্যাভ‍্যাস পরিবর্তন করলে পাতলা পায়খানা জনিত সমস্যা সৃষ্টি হয়। অতিরিক্ত পরিমাণ বা অনেক বেশি কফি খেলে বারবার পায়খানা জনিত সমস্যা হয়ে থাকে। কিছু কিছু ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্যেও ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হয়।

এজন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সেই সব ঔষধ গ্রহণ করতে হবে। নিয়মিত ভাজাপোড়া, ভেজাল যুক্ত ও অতিরিক্ত তেল খেলে আমাদের পাকস্থলী দুর্বল হয়ে পড়ে। আর ঘন ঘন পাতলা পায়খানা শুরু হয়। খাওয়ার অনিয়ম হলে এবং পটাশিয়ামের ঘাটতি দেখা দিলেও এ সমস্যা হয়। এছাড়া আরও বিভিন্ন কারণে ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হয়।

ঘন ঘন পাতলা পায়খানা বন্ধের উপায়

কি কি কারণে ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হতে পারে তা আমরা পূর্বে জেনেছি। এখন জানব ঘন ঘন পাতলা পায়খানা বন্ধের উপায়।
  • ঘন ঘন পাতলা পায়খানা বন্ধ করার জন্য সর্বপ্রথম বাহিরের খাবার এবং দূষিত খাবার ও অল্প রান্না করা বা সেদ্ধ করা খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
  • পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশে থাকতে হবে। বারবার পায়খানা করার পর অবশ্যই হাতে সাবান ব্যবহার করতে হবে।
  • অতিরিক্ত ফাইবার যুক্ত খাবার গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • প্রতিদিন নিয়ম মতো অর্থাৎ সময় মতো খাবার খেতে হবে।
  • ঘন ঘন পাতলা পায়খানা বন্ধ করার জন্য পাতলা পায়খানা বন্ধের ঔষধ এর নাম জেনে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সেবন করবেন।
  • অতিরিক্ত মসলাদার এবং ঝাল জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না।
  • ঘন ঘন পাতলা পায়খানা বন্ধ করতে সরিষা বীজ অনেক কার্যকরী। কেননা এতে অ‍্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান পাওয়া যায়। যার মাধ্যমে পেটে থাকা ব্যাকটেরিয়া গুলো ধ্বংস হয় এবং ঘন ঘন পাতলা পায়খানা বন্ধ হয়।

পাতলা পায়খানা হলে করণীয়

এমন অনেক খাবার রয়েছে যা খেলে আমাদের পাতলা পায়খানা বন্ধ হয় এবং পেটের সমস্যা দূর করে। চলুন জেনে নেই পাতলা পায়খানা বন্ধের উপায় এবং পাতলা পায়খানা হলে করণীয়।
  • স‍্যালাইন : পাতলা পায়খানা হওয়ার পর একটি করে স্যালাইন ৫০০ মিলিগ্রাম পানিতে ভালোভাবে গুলিয়ে পান করতে হবে।
  • মধু : হালকা গরম পানিতে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেলে পেটের সমস্যা দূর হয়। সকাল ও বিকেলে প্রতিদিন এক গ্লাস করে হালকা কুসুম গরম পানিতে মধু মিশিয়ে পান করুন এতে পাতলা পায়খানা বন্ধ হয়।
  • দই এবং ঘোল : অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন পাতলা পায়খানা হলে দুধ খাওয়া যাবে কি? আমরা সকলেই জানি দইয়ে থাকে উপকারী ব্যাকটেরিয়া যা হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে ও খারাপ ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে ফেলে। এজন্য পাতলা পায়খানা হলে দই বা ঘোল খেতে পারেন।
  • পানি : দৈনিক ১০ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করতে হবে পাতলা পায়খানা বন্ধে সহায়তা করতে।
  • পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা : ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অবলম্বন করতে হবে। যে ব্যক্তির পাতলা পায়খানা হচ্ছে তার জামা কাপড়, খাবার প্লেট, এবং বিছানা নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অর্থাৎ পরিবর্তন করা দরকার।
  • ঔষধ : বাজারে অনেক প্রকার পাতলা পায়খানা বন্ধের ঔষধ পাওয়া যায়। আশাকরি আপনি বুজতে পেরেছেন পাতলা পায়খানা বন্ধের উপায় এবং পাতলা পায়খানা হলে করণীয়।
পাতলা পায়খানা হলে আরও করণীয় হলো ঘন ঘন পাতলা পায়খানা শুরু হলে ইচ্ছাকৃত-ভাবে পায়খানা আটকে রাখা যাবে না। এতে বমি, পেট ব্যথা সহ আরও জটিল সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। পাতলা পায়খানা শুরু হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চললে দ্রুত ঘন ঘন পাতলা পায়খানা বন্ধ করা সম্ভব হয়।

পাতলা পায়খানা বন্ধের উপায়

যেসব খেলে পাতলা পায়খানা বন্ধ হয় তার খানিকটা পূর্বেই আলোচনা করা হয়েছে। সেসব ছাড়াও পাতলা পায়খানা বন্ধের উপায় চলুন এখন জেনে নেই।

সাধারণত যেসব কলা তরকারি করে বা ভর্তা করে খাওয়া যায় সেসব কলা তরকারি এবং ভর্তা বানিয়ে খেলে দ্রুত পাতলা পায়খানা বন্ধ হতে সাহায্য করে। যেমন আনাজি কলা। এই কলাতে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম, ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়, যা পাতলা পায়খানা বন্ধ করতে সাহায্য করে। প্রচুর পরিমাণ ডাবের পানি পান করুন।
পাতলা পায়খানা বন্ধ করতে এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডাবের পানি নিমিষেই যে কোন ধরনের পেটের সমস্যা সমাধান করে। এছাড়া ওরস্যালাইন পান করতে পারেন। পায়খানা বন্ধ করার আরেকটি কার্যকরী উপায় হলো আতপ চাল সেদ্ধ করে খাওয়া। আতপ চাল সেদ্ধ করার সময় সেখানে সামান্য পরিমাণ লবণ যোগ করে খেলে অনেক তাড়াতাড়ি পাতলা পায়খানা বন্ধ হয়।

পাতলা পায়খানা হলে কি চিড়া খাওয়া যাবে

পেটের যে কোনো সমস্যায় দই, চিড়া এবং কলা খুবই উপকারী। তবে অতিরিক্ত পরিমাণ খেলে পাতলা পায়খানা হওয়ার ঝুঁকি আরও বেড়ে যেতে পারে। চিড়া একটি শুকনো খাবার। পাতলা পায়খানা হলে চিড়া খাওয়া যাবে। চিড়া এবং চিড়ার পানি খেলে পাতলা পায়খানা হতে দ্রুত উপশম পাওয়া যায়।

পাতলা পায়খানা হলে ডিম খাওয়া যাবে

ডিম একটি প্রোটিনে ভরপুর একটি খাবার। পাতলা পায়খানা হলে প্রোটিন জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো। তবে চিকিৎসকের মতে পাতলা পায়খানা হলে আমাদের শরীরে পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে ডিম প্রক্রিয়াজাত করে রোগীকে খাওয়ানো যেতে পারে।

নিয়মিত একটি করে ডিম এভাবে রোগীকে খাওয়াতে হবে। এতে কোন সমস্যা নেই বরং পুষ্টির চাহিদা মিটবে এবং রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করবে। তবে প্রক্রিয়াজাত না করে সরাসরি ডিম না খাওয়াই ভালো।

পাতলা পায়খানা বন্ধের ঔষধ এর নাম

পাতলা পায়খানা হলে সঠিক খাবারের পাশাপাশি ঔষধ সেবনের মাধ্যমে দ্রুত সুস্থতা লাভ করা যায়। এজন্য আমাদের পাতলা পায়খানা বন্ধের ঔষধ এর নাম জানতে হবে। পাতলা পায়খানা বন্ধের ঔষধ এর নাম গুলো হলো -
  • এ‍্যামোডিস ৪০০
  • জিঙ্ক ট্যাবলেট
  • সিপ্রসিন ৫০০
  • ফ্লাজিল ৪০০
  • মেট্রো ৪০০
  • ফ্লনটিন ৫০০
  • ইমোটিল ট্যাবলেট
  • ওরস্যালাইন
এ সকল ঔষধ যেকোনো ফার্মেসির দোকানে পাওয়া যায়। পাতলা পায়খানার সবচেয়ে জনপ্রিয় ঔষধ এর নাম হলো এ‍্যামোডিস (Amodis)। অতিরিক্ত ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হলে প্রতিবার অর্থাৎ তিন বেলা খাবার খাওয়ার পর এ‍্যামোডিস ঔষধ সেবন করতে হবে। পাতলা পায়খানা কম হলে অর্থাৎ ঘন ঘন না হলে সকাল এবং রাতে একটা করে এই ওষুধ সেবন করতে হবে।

এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া উচিত। এছাড়া জিংক ট্যাবলেট খেলে ঘন ঘন পাতলা পায়খানার সমস্যা অনেকাংশেই কমে যায়। সিপ্রোসিন ৫০০ সহ আরও অন্যান্য এইসব ঔষধ বা ট্যাবলেটটি খেলেও পাতলা পায়খানা শক্ত করতে সাহায্য করে। তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

বাচ্চাদের পাতলা পায়খানা বন্ধের ট্যাবলেট এর নাম

বাচ্চাদের ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা জনিত সমস্যা হলে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। কেননা অতিরিক্ত মাত্রায় ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হতে থাকলে শিশুর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বাচ্চাদের পাতলা পায়খানার সিরাপ খাওয়াতে পারেন আপনার শিশুকে। 

এছাড়া ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সেই অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ট্যাবলেট বা ঔষধ আপনার বাচ্চাকে পারেন। এছাড়া ট্যাবলেট এর পাশাপাশি বাচ্চাদের পাতলা পায়খানা হলে লেবুর রস দিয়ে শরবত ও ডাবের পানি খাওয়াতে পারেন। বুকের দুধ খাওয়ার মতো বাচ্চার বয়স থাকলে দুধ খাওয়ানো চালিয়ে যাবেন এতে পানি স্বল্পতা ও পুষ্টি-হীনতা দূর হবে।

পাতলা পায়খানা হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে

পাতলা পায়খানা হলে পটাশিয়াম যুক্ত ফলমূল খাওয়া প্রয়োজন। কেননা এটি পাতলা পায়খানা দূর করতে সাহায্য করে থাকে। কলা, ডালিম, পেঁপে, আনারস, কমলা, জাম্বুরা, কাঠ বাদাম, মাশরুম, আখরোট, অ্যাভোকাডো ইত্যাদি খাবার পাতলা পায়খানা হলে খাওয়া যাবে। এসব ফল পাতলা পায়খানা দূর করতে অনেক সাহায্য করবে। এছাড়া ডাব এবং নারিকেল খেলেও অনেক উপকার মিলে।

পাতলা পায়খানা হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে না

ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হলে দুগ্ধ জাতীয় খাবার বর্জন করুন। অতিরিক্ত তেল ঝাল এবং বাহিরের খাবার বর্জন করতে হবে। পাতলা পায়খানা হলে সরাসরি ডিম না খাওয়া উচিত নয়, তবে প্রক্রিয়াজাত করে দিনে একটি করে ডিম খাওয়া যেতে পারে, যা পূর্বে আলোচনা করা হয়েছে।

ড্রাগন ফলসহ যেসব ফলে অতিরিক্ত পরিমাণ ফাইবার রয়েছে সেসব ফল খাওয়া যাবে না। কেননা অতিরিক্ত ফাইবারের কারণে পাতলা পায়খানা আরও বেড়ে যায়। দোকানের বিভিন্ন প্রকার জুস, সফট ড্রিঙ্কস, আচার খাওয়া যাবে না।

লেখকের মন্তব্য

ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা সকলেরই অনেক সময় হয়ে থাকে। পাতলা পায়খানা হলে ঘাবড়ে যাওয়ার কোনো কারণ নেই। কেননা এটি চিকিৎসার মাধ্যমে ভালো করা যায়। তবে খুবই অতিরিক্ত পাতলা পায়খানা হলে এবং শরীর বেশি দুর্বল হয়ে পড়লে দ্রুত হাসপাতালে যেতে হবে এবং শরীরে স‍্যালাইন নিতে হবে।

সম্মানিত পাঠক, আমাদের পাতলা পায়খানা বন্ধের উপায়, পাতলা পায়খানা বন্ধের ঔষধ এর নাম, পাতলা পায়খানা হলে করণীয়, পাতলা পায়খানা হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে না, ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হওয়ার কারণ, ঘন ঘন পাতলা পায়খানা বন্ধের উপায়, পাতলা পায়খানা হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে, বাচ্চাদের পাতলা পায়খানার ট্যাবলেট এর নাম, পাতলা পায়খানা হলে ডিম খাওয়া যাবে কি, পাতলা পায়খানা হলে কি চিড়া খাওয়া যাবে ইত্যাদি সম্পর্কে আমরা আজকে জানলাম। আরও কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

দি প্লেনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url