কিডনি ভালো আছে বোঝার উপায়আজকে আমরা আলোচনা করব হরিণের মাংসের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং হরিণের মাংসের দাম সম্পর্কে। হরিণের মাংস খাওয়ার বিষয়ে অনেকের নানা রকম প্রশ্ন থাকে, সে সকল প্রশ্নের সঠিক উত্তর আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব।
হরিণের মাংসের উপকারিতা ও হরিণের মাংসের অপকারিতা সহ ভেনিসন কি, হরিণের চামড়ার উপকারিতা, হরিণের চামড়ার উপকারিতা ও হরিণের শিং এর উপকারিতা, হরিণের মাংস চেনার উপায়, হরিণের মাংস কি হালাল, হরিণের মাংস কত টাকা কেজি, হরিণের মাংসের খেতে কেমন এবং হরিণের মাংস কোথায় পাওয়া যায় তা আপনাদের জানাবো।
সূচিপত্র: হরিণের মাংসের উপকারিতা ও অপকারিতা – হরিণের মাংসের দাম
.
ভূমিকা
হরিণের মাংস ভেনিসন নামেও পরিচিত। এটি ‘ভেনারি’ ল্যাটিন শব্দ থেকে এসেছে যার অর্থ শিকার করা বা তাড়া করা। আদিম যুগের মানুষের জন্য হরিণের মাংস ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ খাদ্যের অংশ, যা বিভিন্ন গুহাচিত্রের মাধ্যমে প্রমাণ করা যায়।
আরও পড়ুন হার্ট ভালো আছে কিনা বুঝার উপায় জানুন
হরিণের মাংস শিকারিদের কাছে জনপ্রিয়। কিন্তু সাধারণ মানুষ সহজে এই পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু বন্য মাংসটি উপভোগ করতে পারে না। বাংলাদেশে হরিণ শিকার করা এবং হরিণের মাংস খাওয়া উভয়ই অপরাধ। তবে যেসব দেশে হরিণের মাংস খাওয়া অপরাধ নয়, আপনি যদি ভ্রমণে থাকেন তাহলে অবশ্যই হরিণের মাংস খেতে ভুলবেন না। কেননা হরিণের মাংসের উপকারিতা রয়েছে।
তবে কারো কারো ক্ষেত্রে হরিণের মাংসের অপকারিতাও রয়েছে। তো চলুন হরিণের মাংসের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং হরিণ সম্পর্কে অন্যান্য তথ্য বিস্তারিত জেনে নেই।
হরিণের মাংসের পুষ্টি
হরিণের মাংসের শুধু স্বাদই ভালো নয়, বরং এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর। হরিণের মাংস হার্টের জন্য ভালো, কেননা এতে রয়েছে কম সোডিয়াম। এতে কি জিঙ্ক, ফসফরাস, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি১২, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন এবং প্রোটিনের মতো স্বাস্থ্যকর উপাদান।
আরও পড়ুন ছত্রাকের উপকারিতা ও অপকারিতা
হরিণের মাংসে কম মাত্রায় কোলেস্টেরল রয়েছে। হরিণের মাংসে লবণের মাত্রা কম রয়েছে, এই কারণে হরিণের মাংস খেলে সহজে ক্ষতিকর প্রভাব পড়েনা। এছাড়াও হরিণের মাংসে থাকা পুষ্টিগুণ স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় এবং মস্তিষ্কও সুস্থ রাখে। প্রতি ১০০ গ্রাম হরিণের মাংসের পুষ্টিগুণ তুলে ধরা হল :
- প্রোটিন – ২২.৩ গ্রাম
- চর্বি – ১.৫ গ্রাম
- কার্বোহাইড্রেট – ০.৫ গ্রাম
- আয়রন – ৩.১ গ্রাম
- ভিটামিন বি২ – ০.৩৫ মিলিগ্রাম
- ক্যালরি – ১১০ কিলোক্যালরি
এছাড়াও হরিণের মাংসের কিছু ভিটামিন-ই, কপার এবং ফোলেটও রয়েছে।
হরিণের মাংসের উপকারিতা
হরিণের মাংসে উচ্চমাত্রায় আয়রন রয়েছে, যা শরীরের তাপমাত্রা এবং বিপাক নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। আয়রন রক্ত তৈরি এবং গর্ভবতী মহিলাদের জন্য প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। হরিণের মাংসের কোলেস্টেরলের মাত্রা কম থাকে।
গরুর এবং খাসির মাংসের চর্বি ও কোলেস্টেরল এর মাত্রা বেশি থাকার কারণে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে যায়। কিন্তু হরিণের মাংস কম চর্বি এবং কম কোলেস্টেরল সরবরাহ করে, তাই এটি একটি নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর খাবার। এটি টেস্টোস্টেরন এর মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।
হরিণের ১০০ গ্রাম মাংসে ৪ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। যা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সুরক্ষা, হাড়ের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও আরও হরিণের মাংসের উপকারিতা গুলো তুলে ধরা হল:
- ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করে
- রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে সাহায্য করে
- ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে
- শরীরের মাংসপেশি বৃদ্ধি করে
- মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে
- প্রোটিনের একটি ভালো উৎস
ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করে : হরিণের মাংসের প্রোটিন থাকে এবং তুলনামূলক কম ক্যালরি থাকে। আপনি যদি মাংস খেতে চান এবং ওজন কমাতে চান তাহলে গরুর এবং ছাগলের মাংস বাদ দিয়ে হরিণের মাংস খেতে পারেন। হরিণের মাংসে থাকা উচ্চ প্রোটিন ঘেরলিনের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং ক্ষুধা কমে যায়। ঘেরলিন এমন হরমোন যা আপনাকে ক্ষুধার্ত করে তোলে।
রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে সাহায্য করে : অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা দেখা দেয় যখন আপনার শরীরে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যকর লাল রক্তকণিকা থাকে না। তখন ক্লান্তি, মাথা ঘোরা, ত্বক ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া এবং হার্টবিট বেড়ে যাওয়া, এসব লক্ষণ দেখা দেয়।
সাধারণত শরীরে ভিটামিন এবং খনিজ এর ঘাটতি হলে রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া হতে পারে। রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে আপনার নাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের চাহিদা মেটাতেন হরিণের মাংস খেতে পারেন। কেননা এটি আয়রন, খনিজ এবং বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরপুর।
ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে : হরিণের মাংস জিঙ্ক সমৃদ্ধ। জিঙ্ক একটি অপরিহার্য খনিজ যা স্বাস্থ্যের অনেক দিকগুলিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, বিশেষ করে ইমিউন সিস্টেমের ক্ষেত্রে। পর্যাপ্ত পরিমাণে জিঙ্ক গ্রহণ সাধারণ সর্দি কাশির মতো শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের উপসর্গগুলিকে কমিয়ে দিতে পারে। এটি ম্যালেরিয়া, নিউমোনিয়া এবং ডায়রিয়ার মতো রোগের চিকিৎসায়ও অনেক উপকারী হতে পারে।
শরীরের মাংসপেশি বৃদ্ধি করে : হরিণের মাংসে প্রচুর প্রোটিন থাকে। যা শরীরের টিস্যু তৈরি এবং মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয়। আপনি যদি শক্তিশালী পেশি, মজবুত হাড়, সুন্দর ত্বক চান তাহলে হরিণের মাংসের প্রোটিন আপনাকে অনেক সাহায্য করবে।
যারা বডি বিল্ডিং করেন তাদের জন্য হরিণের মাংস বেস্ট চয়েস হতে পারে। কেননা এটি মাংসপেশি উন্নত করার সাথে সাথে পেশির ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে : এটা স্পষ্ট যে, আপনি যা খান তা আপনার মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উপর একটি বড় প্রভাব ফেলতে পারে। হরিণের মাংস বা ভেনিসন কিছু ভিটামিন এবং খনিজ সরবরাহ করে যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে, স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
উদাহরণস্বরূপ, হরিণের মাংসের থাকা ভিটামিন বি১২ মেমোরি ফাংশন উন্নত করে, নিয়াসিন বুদ্ধি লোপ এবং আলঝাইমার রোগের বিকাশ থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। হরিণের মাংসের ভিটামিন বি৬ মেজাজকে উন্নত করে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করতে পারে।
হরিণের মাংসের অপকারিতা
হরিণের মাংসের অপকারিতাও রয়েছে। হরিণের মাংস সঠিক নিয়মে না খেলে আপনার শরীরের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। হরিণের মাংস সঠিকভাবে রান্না এবং সংরক্ষণ করা না হলে খাদ্যে বিষক্রিয়া এবং অন্যান্য খাদ্যজনিত অসুস্থতার কারণ হতে পারে।
কিছু বন্য হরিণ ব্রুসেলোসিসের মতো সংক্রামক রোগ বহন করতে পারে, যার ফলে সেই হরিণের মাংস খাওয়ার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। সংক্রমণের ফলে যেসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে :
- পেটে অস্বস্তি
- বমি বমি ভাব
- ডায়রিয়া
- জ্বর
- মায়ালজিয়া
- কার্ডিয়াক
- ছুলি বা আমবাত
- স্নায়বিক জটিলতা
এই লক্ষণ গুলি সাধারণত সংক্রামিত মাংস খাওয়ার ৮-১৫ দিন পরে দেখা দেয়। হরিণের মাংসের প্রচুর স্বাস্থ্য উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও, অতিরিক্ত পরিমাণ হরিণের লাল মাংস খাওয়া হৃদরোগ এবং ক্যান্সার সহ বিভিন্ন ঝুঁকির কারণ হতে পারে।
প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি হরিণের মাংস খাওয়ার ফলে কোলেস্টেরল বেড়ে যেতে পারে, যা পরবর্তীতে হার্টের সমস্যা ডেকে আনে। এছাড়াও পানি শূন্যতা, স্থূলতা এবং ওজন বৃদ্ধি হতে পারে।
সতর্কতা
যেহেতু উপকারিতার পাশাপাশি হরিণের মাংসের অপকারিতা রয়েছে তাই হরিণের মাংস অতিরিক্ত খাবেন না, ভারসাম্য বজায় রেখে হরিণের মাংস খেতে পারেন। হরিণের চোখ, মস্তিষ্ক, মেরুদণ্ড, টনসিল, প্লীহা বা লিম্ফ নোড খাওয়া এড়িয়ে যাওয়া উচিত।
ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে ভ্রমণের বিস্তার রোধ করতে হরিণের মাংস অতিরিক্ত তাপমাত্রায় ভালোভাবে রান্না করুন। হরিণের মাংস খাওয়ার পর আপনি যদি কোন নেতিবাচক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনুভব করেন তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
হরিণের মাংসের দাম
যেহেতু হরিণের মাংস বিক্রি করা বাংলাদেশের আইনের দণ্ডনীয় অপরাধ, হরিণের মাংসের দাম সঠিকভাবে বলার খুবই মুশকিল। তবে জানা যায় শিকারিদের কাছ থেকে গরু এবং খাসির মাংসের চেয়েও কম দামে হরিণের মাংস পাওয়া যায়। বর্তমানে প্রতি কেজি হরিণের মাংসের দাম ৬০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
হরিণের মাংস কোথায় পাওয়া যায়
বাংলাদেশে হরিণের মাংস সহজে পাওয়া যায় না। কেননা হরিণ শিকার করা বা হরিণ বেচাকেনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে সুন্দরবনের আশেপাশের এলাকায় অবৈধভাবে হরিণ শিকার করে বিক্রি করা হয়। শুধুমাত্র যাদের কাছে লাইসেন্স বা অনুমতি রয়েছে তারাই শুধু হরিণের মাংস বিক্রয় করতে পারবেন। যেহেতু বাংলাদেশী আইনে হরিণের শিকার ও মাংস খাওয়া অপরাধ, তাই দেশের বাহিরে যেসব দেশে হরিণ স্বীকার করা বা পালন করা সম্পূর্ণ বৈধ সে সব দেশ থেকে হরিণের মাংস ক্রয় করতে পারেন।
হরিণের মাংস চেনার উপায়
হরিণের মাংস বিভিন্ন কারণে চেনা যায়। এটিতে গরু এবং খাসির মাংসের তুলনায় অনেক কম চর্বি ও আঁশ থাকে। টাটকা হরিণের মাংস গাঢ় বাদামি-লাল বর্ণের হয়ে থাকে। অন্যদিকে খারাপ হয়ে যাওয়া হরিণের মাংস সাধারণত সবুজাভ হয় অর্থাৎ সবুজের আভা থাকে।
ভালো হরিণের মাংস দৃঢ় এবং শক্ত হয়, এটি স্পর্শ করলে মসৃণ বোধ হয়। এছাড়াও হরিণের মাংস চেনার উপায় হল, এটি গরুর মাংসের চেয়ে কম রসালো এবং গন্ধে এটি ক্ষীণ। প্রিয় পাঠক, আপনি হরিণের মাংস চেনার উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আশা করি এখন থেকে হরিণের মাংস চিনতে আপনি ভুল করবেন না।
হরিণের মাংস কি হালাল
গরু এবং ছাগলের মতোই হরিণের মাংস খাওয়া হালাল। কেননা হরিণ একটি তৃণভোজী শান্ত প্রাণী, হরিণ অন্য কোন প্রাণীকে শিকার করে না। এটি হিংস্র প্রাণী নয় তাই ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিতে হরিণ খাওয়া হালাল বা জায়েজ রয়েছে।
হরিণের চামড়ার উপকারিতা
হরিণের চামড়ার অনেক উপকারিতা আছে। হরিণের চামড়ার উপকারিতা গুলো হল :
- হরিণের চামড়া দিয়ে তৈরি পোশাক অনেক নরম এবং কমল হয়।
- হরিণের চামড়া ঘর্ষণ প্রতিরোধী এবং সহজে ছিঁড়ে যায় না
- হরিণের চামড়ার গ্লাভস ভিজে গেলে দাগ পড়ে না।
- হরিণের চামড়া দিয়ে উন্নত মানের ব্যাগ তৈরি করা যায়।
- শরীরের চামড়া দিয়ে বানানো বস্তু খুব টেকসই হয়।
হরিণের শিং এর উপকারিতা
গরিবের সিং হাজার হাজার বছর ধরে ঐতিহ্যগত ভাবে ঔষধে ব্যবহার হয়ে আসছে। এটি এশিয়ার দেশগুলোতে নিউট্রাসিউটিক্যাল হিসাবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এর মাধ্যমে নিম্নলিখিত উপকার গুলো পাওয়া যায় :
- শক্তি, সহনশীলতা এবং কর্মদক্ষতা উন্নত করে।
- আহত পেশি এবং টিস্যু মেরামত করতে সাহায্য করে।
- রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করে।
- তারুণ্য ধরে রাখে এবং ত্বকের উর্বরতা উন্নত করে।
- আর্থ্রাইটিস এর চিকিৎসায় ব্যবহার হয়।
- রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে।
উপসংহার
আমরা অনেকেই চর্বি বেশি থাকার কারণে লাল মাংস খেতে পছন্দ করি না। অথবা অনেক সময় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে লাল মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ হয়ে যায়। কিন্তু হরিণের লাল মাংসে কম ক্যালরি এবং কম চর্বি থাকার কারণে আমরা নিশ্চিন্তে এটি খেতে পারি।
আরও পড়ুন হাঁসের মাংসের উপকারিতা ও অপকারিতা
আবার অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়াও ঠিক নয়। সব দেশে হরিণের শিকার বা পালন করা নিষিদ্ধ সেসব দেশে হরিণের শিকার ও মাংস খাওয়া থেকে দূরে থাকুন।
প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা জানলাম হরিণের মাংসের উপকারিতা, হরিণের মাংসের অপকারিতা, হরিণের মাংসের দাম বা হরিণের মাংস কত টাকা কেজি, হরিণের মাংস চেনার উপায়, হরিণের মাংস কোথায় পাওয়া যায়, হরিণের মাংস খেতে কেমন, হরিণের চামড়ার উপকারিতা এবং হরিণের শিং এর উপকারিতা সম্পর্কে।