খালি পেটে তুলসী খাওয়ার উপকারিতা জানুনসম্মানিত পাঠক আপনি হয়তো পায়খানা ক্লিয়ার করার উপায়, পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট এর নাম, কি খেলে পায়খানা হবে, পায়খানা ক্লিয়ার করার ব্যায়াম, নরম পায়খানা শক্ত করার উপায় সম্পর্কে খোঁজাখুঁজি করছেন। তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।
এখানে আরও আলোচনা করব পায়খানা ক্লিয়ার করার সাপোজিটরি, রাতে কি খেলে পেট পরিষ্কার হয়, সকালে পেট পরিষ্কার করার উপায়, পায়খানা বন্ধ হলে কি করতে হবে, পায়খানা না হলে কি কি সমস্যা হয় ইত্যাদি।
সূচিপত্র: পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট এর নাম – পায়খানা ক্লিয়ার করার উপায়
.
ভূমিকা
আমাদের সুস্থ থাকতে হলে নিয়মিত পেট পরিষ্কার করা অত্যন্ত প্রয়োজন। এজন্য আমাদের জীবন ব্যবস্থা কিছুটা পরিবর্তন করতে হবে। আমাদের সকলেরই জেনে রাখতে হবে পেট পরিষ্কার বা পায়খানা ক্লিয়ার করার উপায় সম্পর্কে।
আরও পড়ুন পেয়ারা পাতার উপকারিতা
পেট পরিষ্কার করার জন্য অনেকেই বিভিন্ন ধরনের ট্যাবলেট বা ঔষধ খেয়ে থাকেন, সঠিক ঔষধ না খেলে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও দেখা দিতে পারে। তাই সঠিকভাবে পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট এর নাম জানতে হবে, যাদের সঠিক ঔষধ নির্বাচন করা যায়।
পায়খানা ক্লিয়ার করার উপায়
পায়খানা নিয়মিত ক্লিয়ার করা খুবই জরুরী। কেননা পায়খানা একটি বজ্র পদার্থ। এটি পেটে জমে থাকলে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। আমরা প্রতিদিনই খাবার গ্রহণ করে থাকি এবং এই খাবার থেকে বজ্র পদার্থগুলো পায়খানার মাধ্যমে বের হয়ে যায়। তাই প্রতিদিন পায়খানা ক্লিয়ার করা আমাদের জন্য আবশ্যক। পায়খানা ক্লিয়ার করার উপায় গুলো হলো-
- ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া: ফাইবার বা আঁশ জাতীয় খাবার যেমন- ডাল, কলা, ড্রাগন ফল, শিম, ছোলা, স্ট্রবেরি, চিয়া সিড, তোকমা, মটরশুঁটি এবং বিভিন্ন ধরনের ফলমূল ও শাকসবজি থেকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার পাওয়া যায়। এসব খাওয়ার পাকস্থলীর হজম ক্রিয়া সম্পন্ন করতে সহায়তা করে। এজন্য কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় অর্থাৎ পায়খানা ক্লিয়ার হয়।
- নিয়মিত হাঁটাচলা করা: বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যারা সারাদিন শুয়ে বসে থাকেন তাদের দেখা যায় পায়খানা ক্লিয়ার হচ্ছে না। নিয়মিত হাঁটাচলা করলে এ সমস্যা দূর হয়।
- পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা: পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করলে শরীরে জমে থাকা মল গুলো নরম হয় এতে সহজেই পেট পরিষ্কার হয়ে যায়।
- বাহিরের ভাজাপোড়া এবং চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা: তেলযুক্ত বা চর্বিযুক্ত খাবার গুলো খারাপ কোলেস্টেরল এর মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যার কারণে পায়খানা ক্লিয়ার হতে চায় না। তাই এসব খাবার পরিহার করতে হবে বা খুবই অল্প পরিমাণে খেতে হবে।
- পায়খানার বেগ চেপে রাখা যাবে না: অনেক সময় নানারকম ব্যস্ততার কারণে আমরা পায়খানার বেগ চেপে রাখি। আর পরবর্তীতে দেখা যায় পায়খানা আর ক্লিয়ার হচ্ছে না। এজন্য আমাদের পায়খানার বেগ পেলে বেশিক্ষণ চেপে ধরে না রেখে দ্রুত তা ক্লিয়ার করার চেষ্টা করতে হবে।
- ধূমপান না করা: নিয়মিত ধূমপান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়, তাই পায়খানা ক্লিয়ার হয় না। পেট পরিষ্কার সুস্থ জীবন লাভ করতে হলে ধূমপান ত্যাগ করতে হবে।
- পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানো: ঘুম না হওয়ার কারণে ও এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই নিয়মিত ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে।
- নিম পাতার রস খাওয়া: প্রতিদিন সকালে উঠে এক চামচ নিম পাতার রস খেলে পায়খানা সহজেই ক্লিয়ার হয়ে যায়। এছাড়াও নিম পাতার রস খাবার মাধ্যমে আরও অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন: ব্যায়াম করার মাধ্যমে শরীরের রক্ত চলাচল সঠিকভাবে সম্পন্ন হয় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে। প্রতিদিন পায়খানা ক্লিয়ার করার জন্য সকালে অথবা বিকালে সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন ১ ঘণ্টা করে ব্যায়াম করুন।
- পালংশাক খেতে পারেন: পালং শাকে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং ফাইবার, যা পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
- ভেষজ চা এবং কফি খান: আদা এবং লবঙ্গ সহ চা পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করে, চাইলে লেবুও যোগ করতে পারেন। কফিতে রয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং পেট ক্লিয়ার করতে সহায়তা করে।
এছাড়াও ইসবগুলের ভুষি, বিভিন্ন ফলের জুস, রঙিন শাকসবজি বেশি বেশি খেতে হবে এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া যাবেনা, একটি নির্দিষ্ট সময় নিয়মিত পায়খানা করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এসব পদ্ধতি অবলম্বন করলে তিন থেকে চার দিনের মধ্যেই ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
ধূমপানসহ অতিরিক্ত পরিমাণ ঔষধ গ্রহণ করলে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনুযায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে। এসব পদ্ধতি অবলম্বন করে কাজ না হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট এর নাম
পায়খানা ক্লিয়ার করার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ট্যাবলেট বা ঔষধ হলো ডুরালাক্স এবং ডুলকোলাক্স। তবে পায়খানা ক্লিয়ার না হলে, যে কোন ট্যাবলেট বা ওষুধ খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও আরও কয়েকটি পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট এর নাম হলো-
- Duralax
- Lactulose
- Dxn morinzhi
- Sopilax 10mg
- Omidon 10mg
- Avolac
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এখানে পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেটের নাম সহ কিছু সিরাপের নামও দেওয়া হয়েছে। এগুলো ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিয়ম অনুযায়ী খেলে পায়খানা ক্লিয়ার বা পেট পরিষ্কার হয়।
পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট এর নাম তো জানলেন ঠিকই, তবে আমাদের উচিত ঘরোয়া পদ্ধতিতে অর্থাৎ লাইফ-স্টাইল পরিবর্তনের মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা। কেননা অনেক ওষুধেরই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে। এসব ঔষধ বা ট্যাবলেট খেলে রোগ ভালো হওয়ার সাথে সাথে অন্যদিকে ক্ষতি সাধন করে।
কি খেলে পায়খানা হবে
পায়খানা হওয়ার জন্য আমাদের স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে। বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, মিনারেল এবং আঁশ জাতীয় ফলমূল এবং শাকসবজি খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। এছাড়া Dxn কোম্পানির মরিনঝি (Morinzhi juice) জুস খেলে নিয়মিত পায়খানা হবে। এটি মরিন্দা ফলের রস থেকে বানানো হয় এবং সাথে উপকারী মাশরুম তো রয়েছেই।
এটি খেলে গ্যাস্ট্রিক নিরাময় হয়, বদ হজম দূর হয় এবং হজম শক্তি বহু গুনে বেড়ে যায়। এ ফলের আরও অনেক ঔষধি গুণাগুণ রয়েছে। পায়খানা ক্লিয়ারসহ শরীরের সকল ধরনের ব্যথা দূর করে, টিউমার এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
এলার্জি দূর করে এবং চুল পড়া বন্ধ করতেও সাহায্য করে। এই ফলের জুস অর্থাৎ মরিনঝি (Morinzhi juice) জুস খেলে পায়খানা হবে।
পায়খানা ক্লিয়ার করার ব্যায়াম
ব্যায়ামের মাধ্যমে আমাদের শরীর এবং মন দুটোই সুস্থ এবং ভালো থাকে। নিয়মিত ব্যায়াম করার মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় এবং পায়খানা ক্লিয়ার হয়। প্রতিদিন বিভিন্ন কাজে আমাদের বাহিরে যেতে হয়, তখন যদি আমরা হেঁটে হেঁটে আমাদের গন্তব্যে যাই অথবা ফিরে আসি তাহলে আমাদের শরীরের উপকার হবে।
এছাড়াও বিভিন্ন সময় হাঁটাহাঁটি করতে পারেন, তবে খাবার পরে হাঁটাহাঁটি না করাই ভালো। পায়খানা ক্লিয়ার করার জন্য যোগ ব্যায়ামও অনেক উপকারী। এছাড়া নিয়মিত সিট আপ, পুশ আপ, ভার উত্তোলন এবং শুয়ে থেকে দুই পা ৬০ ডিগ্রি কোণ পর্যন্ত উঠিয়ে প্রতিদিন এক মিনিট পর্যন্ত রাখা, এইসব ব্যায়াম করলে পেটের অনেক উপকার হয়।
সময় পেলে খেলাধুলাও করতে পারেন। এতে হজম ক্রিয়া দ্রুত এবং খুব ভালোভাবে সম্পন্ন হয়। শুধু পুষ্টিকর ও ফাইবার যুক্ত খাবার খেলে হবে না, পায়খানা ক্লিয়ার করার ব্যায়াম গুলো নিয়মিত করতে হবে।
রাতে কি খেলে পেট পরিষ্কার হয়
রাতে না খেয়ে ঘুমানো ঠিক নয়। এতে পাকস্থলীর সমস্যা হতে পারে। পেট পরিষ্কার করার জন্য রাতে হালকা গরম দুধ নিয়মিত পান করতে পারেন। এতে পায়খানা নরম হয় এবং পেট সহজেই পরিষ্কার হয়। পেট পরিষ্কার করার জন্য বলা খুব উপকারী একটি ফল, তবে কলা রাতে খেলে ঠাণ্ডা জনিত সমস্যা হতে পারে তাই এটি বিকেলে খেতে পারেন এতে পায়খানা খুব সহজেই ক্লিয়ার হয়।
নিয়মিত টক দই খেতে পারেন। এতে উপকারী ব্যাকটেরিয়া রয়েছে যা খাবার হজম হতে সাহায্য করে। রাতের খাবার খাওয়ার পরে এক-বাটি টক দই খান তাহলে সকালে পেট পরিষ্কার হবে।
সকালে পেট পরিষ্কার করার উপায়
পায়খানা করা বা পেট পরিষ্কার করার সবচেয়ে ভালো সময় হলো সকালে ঘুম থেকে উঠে করা। খুব বেশি রাত জাগলে আমরা সকাল সকাল উঠতে পারি না, এজন্য আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। সকালে পেট পরিষ্কার করার জন্য তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠতে হবে। ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই এক গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করবেন, এতে পেট পরিষ্কার হবে।
এছাড়া পাথরকুচি পাতার রস অথবা নিম পাতার রস প্রতিদিন সকালে উঠে এক চামচ করে খেলে পেট পরিষ্কার হয়। ঘুম থেকে উঠে হাঁটাহাঁটি বা দৌড়াতে পারেন, তারপর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে সকালের নাস্তা এবং পানি খেলে দ্রুত পেট পরিষ্কার হয়।
পায়খানা ক্লিয়ার করার সাপোজিটরি
আমরা পূর্বে পায়খানার ক্লিয়ার করার উপায় সম্পর্কে জেনেছি। পায়খানা শক্ত বা কষা হলে আমরা অনেকেই সাপোজিটরি ব্যবহার করে থাকি। পায়খানা শক্ত হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত ভাজাপোড়া, চর্বিযুক্ত খাবার, লাল মাংস ইত্যাদি অতিরিক্ত পরিমাণ খাওয়া।
এসব খাবার খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল এর পরিমাণ বেড়ে যায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। অল্প পরিমাণ এসব খাদ্য গ্রহণ এবং ব্যায়াম করলে সাপোজিটরির প্রয়োজন হয় না। বরং সহজেই পায়খানা ক্লিয়ার হয়ে যায়। রাতের বেলা ঘুমানোর আগে সাপোজিটরি ব্যবহার করে ঘুমালে সকালে পায়খানা ক্লিয়ার হয়।
নরম পায়খানা শক্ত করার উপায়
আমাদের পেটে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার আগমন হলে বা প্রবেশ করলে অথবা অতিরিক্ত পরিমাণ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে পায়খানা অতিরিক্ত নরম হয়ে যেতে পারে। অনেক সময় ঘন ঘন পায়খানার বেগ দেখা দিতে পারে। এ সময় বেশি বেশি পানি খেতে হবে।
ডাবের পানি খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার হয়। এছাড়া ডালিম এর বিচি, ঘোল, লেবুর রস, সরিষার বীজ ফেলে পেটে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দূর হয় এবং পায়খানা স্বাভাবিকভাবে শক্ত হতে থাকে। কেননা এগুলোতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান, যা পেটের খারাপ ব্যাকটেরিয়া গুলো দূর করে এবং নরম পায়খানা শক্ত করতে সাহায্য করে।
এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু ঔষধ ও সেবন করতে পারেন। তাহলে দ্রুত পাতলা পায়খানা স্বাভাবিক অবস্থায় চলে আসে।
পায়খানা বন্ধ হলে কি করতে হবে
সঠিকভাবে নিয়ম অনুযায়ী জীবন যাপন না করার কারণে অনেক সময় পায়খানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে দেরি করে উঠলে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। এজন্য আমাদের সকালবেলা তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করতে হবে। প্রচুর পরিমাণ পানি এবং আঁশ সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে হবে।
নিয়মিত চারটি করে কলা এবং টক দই খেলে কষা পায়খানার মতো জটিলতা দূর হয়। খেয়াল রাখতে হবে বেশি দিন ধরে পায়খানা বন্ধ থাকলে হার্ট এর সমস্যা সহ আরও বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ২-৩ দিন এর বেশি কোষ্ঠকাঠিন্য বা পায়খানা শক্ত হলে অথবা পায়খানা বন্ধ হয়ে গেলে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
এক্ষেত্রে শুরু থেকেই ইসবগুলের ভুষি খেতে পারেন এবং সাপোজিটরি ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া পূর্বে উল্লেখিত পায়খানা ক্লিয়ার করার উপায় এবং পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট এর নাম জেনে সে অনুযায়ী চলতে পারেন। এতে পায়খানা বন্ধ হওয়ার সমস্যা দূর হবে।
পায়খানা না হলে কি কি সমস্যা হয়
পায়খানা না হলে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা বা রোগ দেখা দিতে পারে। পায়খানা না হলে আর যেসব সমস্যা হয় তাহলো-
- হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- শরীরে রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে।
- শরীর ক্লান্ত হয়ে যায় এবং পেট ফুলে যেতে পারে।
- অনেক সময় চোখের নিচে কালো দাগ দেখা দেয়।
- ঘুম ঠিকমতো হয় না।
- শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দেয়।
- ক্ষুধা কমে যায় এবং পেটে গ্যাস্ট্রিক হতে পারে।
- মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে
- এছাড়া পাইলস এর মতো কষ্টদায়ক রোগ হতে পারে।
লেখকের মন্তব্য
প্রতিদিন পায়খানা ক্লিয়ার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। সময় মতো পায়খানা না হলে অনেক জটিলতা এবং বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হয়। সঠিক খাবার এবং সঠিক জীবনযাত্রার মাধ্যমে পায়খানা জনিত সকল সমস্যা দূর করা সম্ভব।
আজকে আমরা জানতে পারলাম পায়খানা ক্লিয়ার করার উপায়, পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট এর নাম, কি খেলে পায়খানা হবে, পায়খানা ক্লিয়ার করার ব্যায়াম, রাতে কি খেলে পেট পরিষ্কার হয়, সকালে পেট পরিষ্কার করার উপায়, পায়খানা ক্লিয়ার করার সাপোজিটরি, নরম পায়খানা শক্ত করার উপায়, পায়খানা বন্ধ হলে কি করতে হবে, পায়খানা না হলে কি কি সমস্যা হয় ইত্যাদি সম্পর্কে। এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনার উপকার হলে অন্যের উপকারের জন্য শেয়ার করুন।