কোন শ্যাম্পু সবচেয়ে ভালোসম্মানিত পাঠক, আমরা অনেকেই ডিএক্সএন গ্যানোজি টুথপেস্ট এর উপকারিতা এবং কোন টুথপেস্ট সবচেয়ে ভালো তা আমরা জানিনা। এছাড়া ঘরোয়া পদ্ধতিতে টুথপেস্ট তৈরির নিয়ম জানতে পুরো কনটেন্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আজকে এমন একটি উপাদান নিয়ে আলোচনা করব যেটা ছাড়া আমাদের চলে না। দাঁতের যত্নে প্রতিদিন আমাদের নিয়মিত সকাল এবং রাতে ব্রাশ করা উচিত, এতে দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
ভূমিকা
দাঁত এমন একটি জিনিস, যার যত্ন না নিলে মুখের এবং পেটের অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিভিন্ন ধরনের রোগ পালাই মুখে বাসা বাঁধতে পারে। সেখান থেকে পেটে এবং সারা শরীরে রোগ সৃষ্টি হতে পারে। তাই আমাদের সঠিক টুথপেস্ট দিয়ে নিয়মিত দাঁত মাজতে হবে।
কিন্তু সকল টুথপেস্ট আমাদের জন্য ব্যবহারযোগ্য নয়। এজন্য আমাদের কোন টুথপেস্ট সবচেয়ে ভালো তা জানতে হবে। এক্ষেত্রে ডিএক্সএন (dxn) গ্যানোজি টুথপেস্ট এর উপকারিতা অনেক। তো চলুন এসব বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
ডিএক্সএন গ্যানোজি টুথপেস্ট এর উপকারিতা
আমরা জানি রিশি বা গ্যানোডার্মা মাশরুমে ৪০০ প্রকারের উপকারিতা রয়েছে। গ্যানোজি টুথপেস্ট মুখের দুর্গন্ধের জন্য ভালো কাজ করে। যাদের পাইরিয়া হয়, দাঁত মাজলে দাঁত থেকে রক্ত পড়ে তাদের জন্য ডিএক্সএন গ্যানোজি টুথপেস্ট ভালো কাজ করবে। টনসিল ও টনসিলের ব্যথা দূর করে। তীব্র দাঁতে ব্যথা হলে গ্যানোজি টুথপেস্ট ব্যবহার করলে ব্যথা কমে যায়।
আরও পড়ুন হার্টের সমস্যার লক্ষণ
যে দাঁতে ব্যথা সেই তাতে কিছুক্ষণ টুথপেস্ট লাগিয়ে রাখুন তাহলে ব্যথা চলে যাবে। এই পেস্ট দিয়ে দাঁত মাজলে মুখের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়, ২ ইঞ্চি পরিমাণ পেস্ট নিয়ে গরম পানিতে মিশিয়ে গড়গড়া করলে টনসিল আস্তে আস্তে ছোট হয়ে আসে। ডিএক্সএন গ্যানোজি টুথপেস্ট এর আরও উপকারিতা হল এটি পানির সাথে মিশিয়ে মাথায় ব্যবহার করলে মাথা ব্যথা দূর হয়।
দাউদসহ যেকোনো ধরনের স্কিন এর রোগ হলে গ্যানোজি টুথপেস্ট স্বল্প পরিমাণ পানির সাথে মিশিয়ে স্কিনে লাগালে এসব স্কিনের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। পুড়ে গেলে বা ফোস্কা পড়লে এই টুথপেস্ট ব্যবহার করতে পারেন। আঘাত প্রাপ্ত হলে সেই স্থানে এই পেস্ট নিয়ে মালিশ করুন, এতে তীব্র ব্যথা চলে যাবে।
কারো চুল পড়া সমস্যা থাকলে বা মাথায় প্রচুর খুশকি থাকলে dxn গ্যানোজি টুথপেস্ট পানির সাথে মিশিয়ে চুলে দশ মিনিট রেখে দিন। তাহলে চুল পড়া বন্ধ হবে এবং খুশকি দূর হবে। গ্যানোজি টুথপেস্ট ত্বকে ব্যবহার করলে ময়লা এবং কালো দাগ দূর হয়। চোখের নিচের কালো দাগও দূর করে। অনেকের ভ্রমণ কালে বমি হয়, ভ্রমণ কালে এই টুথপেস্ট পানির সাথে মিশিয়ে খেলে বমি বমি ভাব দূর হয়।
গ্যাস, পেট ফাঁপা এবং খুশখুসে কাশিও দূর হয়। যাদের দুই থেকে তিন দিন ধরে পায়খানা ক্লিয়ার হয় না, তারা গ্যানোজি টুথপেস্ট দুই থেকে তিন ইঞ্চি পরিমাণ নিয়ে পানির সাথে গুলে খেলে পায়খানা নরম এবং ক্লিয়ার হয়। এখন অনেকেই বলতে পারেন যে, টুথপেস্ট আবার খাওয়া যায় নাকি। খাওয়া যায় না হল কেমিক্যাল।
যে সকল টুথপেস্টে কেমিক্যাল ফ্রম আছে, পটাশিয়াম নাইট্রেট আছে, ফ্লোরাইড আছে, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড আছে, স্যাকারিন রয়েছে এগুলো খাওয়া বা ব্যবহার করা যায় না। এগুলো খেলে বা ব্যবহার করলে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু dxn গ্যানোজি টুথপেস্টে ঔষধি গ্যানোডার্মা মাশরুম রয়েছে।
আরও রয়েছে ফুড-জেল, পুদিনার মেন্থল, পিপারমেন্ট অয়েল যা আমাদের জন্য খুবই উপকারী উপাদান। এগুলো নিশ্চিন্তে ব্যবহার এবং খাওয়া যায়। আর ডিএক্সএন গ্যানোজি টুথপেস্টে কোন ক্ষতিকর কেমিক্যাল নেই।
কোন টুথপেস্ট সবচেয়ে ভালো
বাংলাদেশ এবং ভারতে সাধারণত টুথপেস্ট হিসেবে কোলগেট, পেপসোডেন্ট সহ আরও কিছু অন্যান্য টুথপেস্ট ব্যবহার করা হয়। এসব পণ্য যখন আমরা ব্যবহার করি তখন আমরা খেয়াল করি না যে এটাতে কোন ক্ষতিকর কেমিক্যাল আছে কিনা। এখন প্রশ্ন হল ভালো মানের টুথপেস্ট বা ক্ষতিকর কেমিক্যাল মুক্ত টুথপেস্ট আপনি কিভাবে চিনবেন।
আরও পড়ুন হার্ট ব্লক হওয়ার লক্ষণ
যে কোন টুথপেস্ট অর্গানিক নাকি অর্গানিক নয় তা চেনার বা বুঝার উপায় হল – টুথপেস্টি হাতে নিয়ে প্যাকেটের নিচের দিকে দেখবেন যে এখানে সবুজ, নীল, লাল অথবা কালো এই রং গুলোর যে কোন একটি রং দ্বারা চিহ্নিত করা রয়েছে।
যে টুথপেস্টে নীল চিহ্ন দেওয়া আছে, সেই টুথপেস্টটি ক্ষতিকর কেমিক্যাল মুক্ত বা অর্গানিক। এভাবে সবচেয়ে ভালো মানের টুথপেস্ট নির্বাচন করা যায়। আমাদের মুখের মাধ্যমে সাধারণত রোগ জীবাণু পেটে প্রবেশ করে থাকে এবং বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হয়।
আমরা অনেকেই গ্যানোডার্মা মাশরুম সম্পর্কে জানি। এটাকে কিং অফ হার্ভ অর্থাৎ ঔষধের রাজা বলা হয়। এই গ্যানোডার্মা মাশরুম গ্যানোজি টুথপেস্টে ব্যবহার করা হয়েছে। এরপর এখানে রয়েছে ফুড-জেল, পিপারমেন্ট অয়েল, পুদিনার মেন্থল আর রয়েছে পানি। এখানে কোন প্রকার কেমিক্যাল মিক্সড করা হয়নি। সুতরাং ধরা যায় ডিএক্সএন গ্যানোজি টুথপেস্ট সবচেয়ে ভালো মানের।
আর অন্যদিকে বাজারের বেশিরভাগ টুথপেস্ট গুলোতে কেমিক্যাল ফ্রম থাকে। এই ফ্রমের মধ্যে একটি উপাদান থাকে যার নাম হল পটাশিয়াম নাইট্রেট। এটি ইঁদুর, তেলাপোকা মারা ঔষধে ব্যবহার করা হয়।
কেউ যদি এক চামচ পটাশিয়াম নাইট্রেট খেয়ে ফেলে, তাহলে কিন্তু সে কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যাবে। এরপর বাজারের টুথপেস্ট গুলোতে রয়েছে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, যেটা হচ্ছে একটি স্ট্রং ডিটারজেন্ট। এটি হার্পিক বা টয়লেট ক্লিনারে ব্যবহার করা হয়।
বাজারের টুথপেস্টগুলোতে প্রচুর পরিমাণ প্রিজারভেটিভস দেওয়া থাকে। এছাড়া আর্টিফিশিয়াল কালার এবং স্যাকারিন থাকে। এগুলো উপাদান ক্যান্সারের জন্য দায়ী। এইসব টুথপেস্টে আরও মারাত্মক ক্ষতিকর উপাদান রয়েছে যার নাম হল ফ্লোরাইড। এই ফ্লোরাইড কতটা ক্ষতিকর একটি উপাদান তা আপনারা কল্পনাই করতে পারবেন না।
আরও পড়ুন হার্ট ভালো আছে বুঝার উপায়
ডেন্টাল ফ্লোরোসিস যে রোগ গুলো হয়, সেগুলো অতিরিক্ত ফ্লোরাইড ব্যবহার করার মাধ্যমে হয়ে থাকে। ডক্টর ডিন বার্গ তিনি কানাডার ক্যান্সার ইন্সটিটিউট এ তার ৩৫ বছরের গবেষণায় বলেছেন, হাড়ের মেরুর ক্যান্সারের জন্য ফ্লোরাইড দায়ী।
ব্রেন ক্যান্সার ও বোন ক্যান্সার হয় এমন উপাদান বাজারের বেশিরভাগ টুথপেস্ট এর মধ্যে দেওয়া আছে। এখন আপনি চিন্তা করুন আপনার সকালটা এই সব ক্ষতিকর উপাদান ব্যবহারের মাধ্যমে শুরু করবেন কিনা।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে টুথপেস্ট তৈরির নিয়ম
বাহিরের কেমিক্যাল-যুক্ত টুথপেস্ট আমাদের শরীরের বিভিন্ন ক্ষতি সাধন করে থাকে। এজন্য ঘরেই তৈরি করুন আপনার উপকারী টুথপেস্ট। টুথপেস্ট তৈরির নিয়ম – টুথপেস্ট তৈরি করতে হলে কিছু প্রয়োজনীয় উপাদান দরকার হয়। যেমন বেকিং সোডা, সলিড লবণ, পিপারমেন্ট অয়েল এবং সাথে লবঙ্গ ও দারুচিনির গুড়া নিতে পারেন।
আরও পড়ুন মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর ঘরোয়া উপায়
এসব উপাদানের সাথে সামান্য পরিমাণ পরিষ্কার পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। পেস্টটিতে অল্প পানি ব্যবহার করে ঘন রাখার চেষ্টা করবেন। তারপর সকাল এবং রাতে টুথব্রাশ দিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
এসব উপাদান গুলো না থাকলে সহজ উপায় অবলম্বন করতে পারেন। যেমন সরিষার তেল এবং লবণ একসঙ্গে মিশিয়ে দাঁতের গোড়ায় গোড়ায় ভালোভাবে আঙ্গুল দ্বারা বা ব্রাশ দ্বারা পরিষ্কার করুন।
সরিষার তেল এবং লবণ ব্যবহারের ফলে দাঁতের মাড়ি মজবুত হয়, দাঁত পরিষ্কার এবং ব্যথা দূর হয়, মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়। সবচেয়ে ভালো উপায় হল নিয়মিত মিসওয়াক করা। মিসওয়াক করলে সত্তরটির বেশি উপকার লাভ করা যায়।
ডিএক্সএন গ্যানোজি টুথপেস্ট এর উপকারিতা (Dxn ganozhi toothpaste) – কোন টুথপেস্ট সবচেয়ে ভালো – লেখকের মন্তব্য
নিয়মিত ব্রাশ করা অত্যন্ত জরুরি। তবে ব্রাশ করার চেয়ে নিম গাছের কচি ডাল দিয়ে মিসওয়াক করলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। তবে টুথপেস্ট ব্যবহার করলে ক্ষতিকর কেমিক্যাল-মুক্ত টুথপেস্ট নির্বাচন করে ব্রাশ করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি মালয়েশিয়ার dxn গ্যানোজি টুথপেস্ট ব্যবহার করতে পারেন।
প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা ডিএক্সএন গ্যানোজি টুথপেস্ট এর উপকারিতা (Dxn ganozhi toothpaste), কোন টুথপেস্ট সবচেয়ে ভালো এবং ঘরোয়া পদ্ধতিতে টুথপেস্ট তৈরির নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারলাম। ডিএক্সএন গ্যানোজি টুথপেস্ট ব্যবহার করে আপনি উপকৃত হলে অবশ্যই সকলের সাথে শেয়ার করবেন।