কয়টি প্রোডাক্ট নিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা হয়

মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং করুনঅ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে আপনার প্রশ্ন হতে পারে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কী, কয়টি প্রোডাক্ট নিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা হয়, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কত প্রকার, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করা হয়, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কেন করা হয় ইত্যাদি। বর্তমান ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্যতম একটি রূপ হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
কয়টি প্রোডাক্ট নিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা হয়
যে-কোনো ব্যবসায় মার্কেটিং ব্যবসার সাফল্যের অন্যতম চাবিকাঠি হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। মার্কেটিং এর বিস্তর সেক্টরে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর অবস্থান উল্লেখযোগ্য। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ব্যাপক প্রসার ও লাভজনক সম্ভাবনা এই সেক্টর কে ক্রমেই আরও সম্প্রসারিত করছে।
আজকের আর্টিকেলে আমরা কয়টি প্রোডাক্ট নিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যেতে পারে, কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা হয় সহ, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর বিভিন্ন বিষয়বস্তু নিয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করবো।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কী?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো মার্কেটিং এর একটি পদ্ধতি, যেখানে কোম্পানি গুলো তাদের বিজ্ঞাপনের জন্য বিভিন্ন ব্লগ বা অন্যান্য ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেয় এবং বিজ্ঞাপন থেকে পণ্য কেউ ক্রয় করলে, তার থেকে কোম্পানি ও ওয়েবসাইট উভয়েরই লভ্যাংশ পাওয়ার প্রক্রিয়া।
মার্কেটিং জগতে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আরও সমুন্নত করেছে ব্যবসার ক্ষেত্র সমূহ কে। শুধু ব্লগ সাইট না, বরং ইউটিউব, ফেসবুক সহ যে-কোনো মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজ করা যায়।
উদাহরণস্বরূপ, একটি কোম্পানি আরেকটি ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল কোনো সাইট কে এসে তাদের বিজ্ঞাপন সেই ওয়েবসাইটে প্রদান করতে বলে। তারপর সেই বিজ্ঞাপন দেওয়ার পর সেই বিজ্ঞাপন থেকে যদি কেউ ওই কোম্পানির পণ্য কিনে থাকে, তাহলে নির্দিষ্ট হারে একটি অর্থ ওই ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ পাবে।
এমন কয়টি প্রোডাক্ট নিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা হয়, সেসব উদাহরণ নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা ক্রমেই আলোচনা করা হবে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কত প্রকার?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং মার্কেটিং এর অনেক গুলো প্রকারভেদ আছে। তবে কয়টি প্রোডাক্ট নিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়, সেসব কিছু থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রকার নির্ধারণ করা যায়। যেমন, ফেসবুক, ইমেইল, সিপিএ, ইউটিউব মার্কেটিং ইত্যাদি। ব্লগার ওয়েবসাইট গুলো মূলত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সবচেয়ে বড়ো মাধ্যম।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করা হয়?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের-ই একটা আলাদা ক্ষেত্র। তাই স্বাভাবিকভাবে-ই ডিজিটাল মার্কেটিং এর মতো অনলাইনে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা হয়। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর পদ্ধতি জটিল কিছু না।
একটি কোম্পানি অন্য একটি কোম্পানির সাথে সহাবস্থানের মাধ্যমে প্রচার প্রচারণার ধারণা থেকে এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ধারণার উদ্ভব হয়েছে। যে কয়টি প্রোডাক্ট নিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়, তার সবগুলোর-ই উপযুক্ত এমন সহযোগী ওয়েবসাইট আছে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর পদ্ধতি টা হচ্ছে মূলত দুইটি আলাদা কোম্পানি বা ওয়েবসাইটের মধ্যে। একটি কোম্পানি তাদের পণ্য বিক্রয়ের জন্য আরেকটা কোম্পানির ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল সাইটে বিজ্ঞাপন দেয় প্রথমে।
এখন সেই বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে ওই ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল সাইট ব্যবহারকারীদের যত জন যেই পণ্যের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে তার মাধ্যমে পণ্য ক্রয় করলে, তার থেকে একটি নির্দিষ্ট হারে লাভ পেতে থাকবে বিজ্ঞাপন সংবলিত ওয়েব বা সোশ্যাল সাইট।
যে কয়টি প্রোডাক্ট নিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা হয়, সাধারণত সবগুলো প্রোডাক্টের জন্য আলাদা ওয়েব ও সোশ্যাল সাইট থাকে। যেখান থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সহজেই করা হয়ে থাকে।

কয়টি প্রোডাক্ট নিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা হয়

কয়টি প্রোডাক্ট নিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা হয়, এর চেয়ে বরং কোন প্রোডাক্ট গুলো নিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায় না, সেই প্রশ্ন অধিক যৌক্তিকতা রাখে। কারণ এমন যত টাইপের পণ্য আছে, সব গুলো দিয়েই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়।
সাধারণত ৫ থেকে ১০ টি প্রোডাক্ট নিয়েই অ‍্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করা যায়। পরবর্তীতে আপনার ব্যবসা বড় করার জন্য আরও বিভিন্ন প্রোডাক্ট যোগ করতে পারেন।
ব্যক্তিগত প্রসাধনীর জন্য আলাদা রূপচর্চার ব্লগ, বাসার আসবাবপত্রের জন্য আলাদা ব্লগ, নির্মাণ সামগ্রীর জন্য কোম্পানিগুলোর আলাদা ব্লগ সাইট, ইলেকট্রনিকস সহ প্রযুক্তির সাথে সম্পর্কিত ইউটিউব সহ অন্যান্য আরও ডিজিটাল সাইট ইত্যাদি। প্রতিটি পণ্যের জন্য তার সাথে আর কী কী প্রয়োজন সেই পণ্যের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা হয়।
খুচরা থেকে পাইকারি, প্রতিটি ক্ষেত্রেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুযোগ আছে৷ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো নিজেদের প্রতিষ্ঠানের প্রচারণার ক্ষেত্রেও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং দারুণ কার্যকরী। 
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য পণ্যের বিভিন্ন অফার প্রতিষ্ঠান গুলো দিয়ে থাকে। দারাজ, অ‍্যামাজন এর মতো প্রতিষ্ঠান গুলো মূলত এভাবেই সাহায্য করে যাচ্ছে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কেন করা হয়?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা হয়, পণ্যের ও ব্যবসার প্রচার ও প্রচারণা আরও তরান্বিত করতে। পণ্য কে আরও বেশি জায়গায় প্রচারের মাধ্যমে টার্গেটেড কাস্টমারের নিকট পৌঁছে দেওয়ায় হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মূল লক্ষ্য। প্রতিটি ক্রেতার আলাদা একটা কমিউনিটি বা গ্রুপ আছে।
যত সম্ভব ক্রেতার কাছে এই পণ্য পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে, পণ্যের বিক্রয় তত-ই বৃদ্ধি পাবে। ফলাফল, ব্যবসায় মুনাফা বৃদ্ধি পাবে এবং লাভবান হওয়া যাবে। যে কয়টি প্রোডাক্ট দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা হয়, তার সবগুলোই পণ্য কে আরও বেশি টার্গেটেড কাস্টমারের নিকট পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে,
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে গবেষণা, কিওয়ার্ড রিসার্চ, মার্কেট এনালাইসিস সহ আরও যেসব প্রক্রিয়ায় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়, সেই দক্ষতা কাজে লাগিয়ে মার্কেট প্লেসেও কাজ করা সম্ভব। দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা, উভয়ই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

শেষকথা

কয়টি প্রোডাক্ট নিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা হয়, কিভাবে করা হয়, কেন করা হয় তার বিস্তারিত আলোচনা আমরা উপরের আলোচনা থেকে দেখতে পেয়েছি। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নামে এই মার্কেটিং ক্ষেত্র আমাদের মার্কেটিং প্রক্রিয়ার অবিচ্ছেদ্য অংশ।
বিশ্বব্যাপী অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একটা যে বিপ্লব এনে দিয়েছে, তা থেকে লাভবান হয়েছে বহু কোম্পানি সহ, খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতারা। একটি কোম্পানি বা ব্যবসা যখন ভালো লাভ হয়, তখন প্রকৃতপক্ষে দেশের অর্থনীতিতে অনেক বেশি প্রভাব ফেলে। আর এভাবেই একটি দেশ তথা জাতির উন্নয়ন ঘটে থাকে।

FAQ: পোস্ট সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর

১. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে কত শতাংশ কমিশন পাওয়ার যায়?
উত্তর: কত শতাংশ কমিশন পাওয়া যায়, সেটা মূলত পণ্যের দাম ও জনপ্রিয়তার ওপর পণ্য ভেদে ১-৫ শতাংশ কমিশন পাওয়া যায়। কয়টি প্রোডাক্ট নিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা হয়, তার ওপরেও এটি অনেকটা নির্ভরশীল।
২. Affiliate marketing করতে কতদিন লাগে?
উত্তর: ইনকাম হওয়ার আগ পর্যন্ত সাধারণ কয়েক সপ্তাহ থেকে সর্বোচ্চ কয়েক মাস পরিশ্রম করার প্রয়োজন হয়।
৩. কোন ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট প্লেসে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়?
উত্তর: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য সাধারণত অনেক গুলো আন্তর্জাতিক অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার প্রতিষ্ঠান আছে। যেমন দারাজ, আলিবাবা, অ‍্যামাজন ইত্যাদি।
৪. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং যারা করে তাদের কী বলে?
উত্তর: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং যারা করে তাদের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার (Affiliate Marketing) বলে।
৫. কয়টি প্রোডাক্ট নিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা হয়?
উত্তর: সাধারণত ৫ থেকে ১০ টি প্রোডাক্ট নিয়ে আপনি এলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারেন। পরবর্তীতে লাভবান হলে আপনি প্রোডাক্ট এর সংখ্যা আরও বাড়াতে পারেন।
See also  অল্প পুঁজিতে ব্যবসা করার সেরা ১২টি আইডিয়া

Leave a Comment