আমন্ত্রণ পত্র লেখার নিয়ম জানুনপ্রিয় পাঠক আজকে আমরা আপনাদের অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর (hsc) জানাব। আমরা অপরিচিতা গল্পের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর তুলে ধরার চেষ্টা করব।
যারা hsc পরীক্ষার্থী রয়েছেন তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। আপনারা আশা করি অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর পরীক্ষায় কমন পাবেন। পরীক্ষায় সরাসরি কমন না পেলেও আজকের অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর গুলো জানার মাধ্যমে যে কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন। তো চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর গুলো।
অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
উদ্দীপক ১: সামান্য বিষয় নিয়ে বিয়ে ভেঙে যাওয়ার ফলে লামিয়া খাতুন আর বিয়ে করেননি। এখন তিনি সমাজসেবামূলক একটি প্রতিষ্ঠানে যারা চোখে দেখতে পায় না তাদের পড়াশোনা শেখানোর কাজ করে থাকেন।
অপরিচিতা গল্পের ১ নং সৃজনশীল প্রশ্ন:
- ক. শম্ভুনাথ সেন পেশায় কী করতেন?
- খ. কল্যাণী বিয়ে না করার পণ করেছে কেন?
- গ. শাহীন আক্তারের সমাজসেবামূলক কাজ অপরিচিতা গল্পের কোন দিককে নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা কর।
- ঘ. শাহীন আক্তার এর মানসিক দৃঢ়তা অপরিচিতা গল্পের কল্যাণীর ছায়ারূপ, উক্তিটির যৌক্তিকতা বিচার কর।
অপরিচিতা গল্পের ১ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
উত্তর ক: শম্ভুনাথ সেন পেশায় ডাক্তারি করতেন।
উত্তর খ: পাত্রপক্ষের খারাপ আচরণ এবং হীন মানসিকতার পরিচয় দেওয়ার ফলে বিয়ে ভেঙ্গে যায়। এই কারণে কল্যাণী বিয়ে না বসার পণ করেছে।
বিয়েতে কনের গায়ে থাকা স্বর্ণ আসল কিনা তা নিয়ে বরপক্ষ সন্দেহ করে। এর কারণে কনের পিতাকে অনেক অপমানিত হতে হয়। তিনি তার কন্যাকে আর বরপক্ষের হাতে তুলে দেয় না। পিতার অপমান এবং সমাজের প্রচলিত কর্মকাণ্ড সহ্য করতে না পেরে কল্যাণী আর বিয়ে বসতে চায়না। এরপর তিনি দেশ সেবার কাজে হাত বাড়ায় এবং শিক্ষকতা শুরু করে দেয়।
উত্তর গ: উদ্দীপকের লামিয়া খাতুন এর কাজ অপরিচিতা গল্পের কল্যাণী যে সবার সেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ করেছে সে দিককে নির্দেশ করে।
উদ্দীপকে আমরা দেখতে পাই লামিয়া খাতুন এর বিয়ে ভেঙে যাওয়ার ফলে পরবর্তীতে তিনি আর বিয়ে করেননি। সমাজের উন্নয়ন যাতে হয় এমন কাজে জড়িত হয়েছেন। তিনি একটি প্রতিষ্ঠানে যারা চোখে দেখতে পায় না তাদের পড়াশুনা শেখানোর দায়িত্ব নিয়েছেন। তার এই মন-মানসিকতা এবং কাজ অপরিচিতা গল্পের কল্যাণীর মন-মানসিকতা এবং কাজের সাথে মিলে যায়।
অপরিচিতা গল্পের কল্যাণীর সাথে অনুপমের পরবর্তীতে দেখা হলেও কল্যাণী বিয়ের কথা চিন্তা করে না। বরং সে একাকীত্ব এবং সমাজ ও দেশের উন্নয়নের জন্য মেয়েদের পড়াশোনা শেখানোর দায়িত্ব নেয়। অতএব উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা বুঝতে পারি যে, লামিয়া খাতুনের সমাজের সেবা করার কাজ অপরিচিতা গল্পের কল্যাণীর সেবামূলক কাজে অংশগ্রহণের দিককে নির্দেশ করে।
উত্তর ঘ: লামিয়া খাতুনের মানসিক দৃঢ়তা অপরিচিতা গল্পের কল্যাণীর ছায়ারূপ, এই উক্তিটি যথেষ্ট যৌক্তিক।
সমাজের অজ্ঞতা এবং খারাপ দিককে পিছিয়ে ফেলে কল্যাণী নিজের মতকে প্রতিষ্ঠা করে, এটি উদ্দীপকে লামিয়া খাতুন এর মধ্যেও দেখা যায়। সমাজের এই প্রতিবন্ধকতাকে কল্যাণী এবং লামিয়া খাতুন উভয়ই জয় করেছে।
উদ্দীপক পড়ে আমরা জানতে পারি যে, সামান্য কোন এক বিষয় নিয়ে ঝামেলা হওয়ার কারণে লামিয়া খাতুনের বিয়ে ভেঙে যায় এবং তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন নি। পরবর্তীতে তিনি ২য় বার বিয়ে করার বিষয়ে কোনও চিন্তা ভাবনাও করেননি। বরং সমাজের যাতে উন্নতি হয় সে বিষয়ে তিনি কাজ শুরু করেছেন।
আরও পড়ুন হরিণের মাংসের উপকারিতা ও দাম কত
ঠিক তেমনি ভাবে অপরিচিতা গল্পে আমরা দেখতে পাই কল্যাণীও লামিয়া খাতুনের মতো মানসিকভাবে ভেঙে পড়েননি। বর পক্ষের পণ নিয়ে বাড়াবাড়ি এবং কল্যাণীর পিতার অপমানের জন্য বিয়ে ভেঙে যায়। পরবর্তীতে পাড়া-প্রতিবেশীর ছোট ছোট মেয়েদের পড়াশোনা করানোর দায়িত্ব কল্যাণী গ্রহণ করে। কল্যাণী মনের দিক থেকে কখনোই হারেনি, বরং বিজয় লাভ করেছে।
অতএব আমরা বুঝতে পারি যে, উদ্দীপকের লামিয়া খাতুন এবং অপরিচিতা গল্পের কল্যাণী উভয়ের মন মানসিকতা একই। তারা দুজনের কেউই এই নোংরা মনুষ্যত্বহীন সমাজের কাছে মাথা নত করেনি। সুতরাং প্রশ্নের উক্তিটি যৌক্তিক।
উদ্দীপক ২: সাহানার বাবা একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা। তাদের প্রতিবেশী আলম সাহেবের শিক্ষিত বেকার যুবক মাসুদ শাহানাকে বিয়ে করেছে বাবার কথামতো। মাসুদের একটা ভালো চাকরি দরকার। মাসুদের বাবা এ বিয়েতে যৌতুকের পরিবর্তে চেয়েছেন ছেলের জন্য একটা চাকরি।
বিয়ের মাত্র কয়েকদিন পরেই হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়লেন শাহানার বাবা। এরপর হাসপাতালে গেলে জানা যায়, তার দুরারোগ্য ব্যাধি হয়েছে। তিনি তার চাকরি হারালেন।
নিজের চিকিৎসার জন্য জমানো সমস্ত অর্থ ব্যয় করলেন। অবশেষে মৃত্যু হল তার শেষ পরিণতি। তার মৃত্যুর পর মাসুদের বাবার সমস্ত আশা ভঙ্গ হল। বিয়ের পরে কোন লাভ না দেখে মাসুদও মরিয়া হয়ে শাহানাকে অত্যাচার শুরু করে দিল। এভাবে অত্যাচারে অতিষ্ঠ হতে হতে একদিন শাহানা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
অপরিচিতা গল্পের ২ নং সৃজনশীল প্রশ্ন:
- ক. অপরিচিতা গল্পে কে নিজেকে অসামান্য চতুর বলে ভাবে?
- খ. গায়ে হলুদ অসম্ভব রকম ধুম করে গেল – কোন প্রসঙ্গে এ কথা বলা হয়েছে?
- গ. অপরিচিত গল্পের কোন বিষয় উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।
- ঘ. শাহানা তার জীবনের এমন করুণ পরিণতি কিভাবে এড়িয়ে যেতে পারতো বলে তুমি মনে কর? অপরিচিতা গল্পের আলোকে তোমার মতামত দাও।
অপরিচিতা গল্পের ২ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
উত্তর ক: অপরিচিতা গল্পে বর্ণিত মামা নিজেকে অসামান্য চতুর বলে ভাবে।
উত্তর খ: গায়ে হলুদ অসম্ভব রকম ধুম করে গেল, কল্যাণীর বিয়ের আয়োজন প্রসঙ্গে এ কথা বলা হয়েছে।
অনেক বড় ঘর দেখে কল্যাণীকে বিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। তার গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান অনেক ধুমধাম করে হতে থাকে। অনেক লোক এসে তাদের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। তাদের অনুষ্ঠানের যাবতীয় হিসাব নিয়ে লোকমুখে চলিতে থাকল নানারকম জল্পনা-কল্পনা। কত লোক এলো, কত টাকা খরচ হল ইত্যাদি নিয়ে নানা আলোচনা সমালোচনা চলতে থাকল। মূলত বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন বোঝাতে আলোচ্য উক্তিটি বলা হয়েছে।
উত্তর গ: অপরিচিতা গল্পে বর্ণিত যৌতুক প্রথার প্রতিফলন উদ্দীপকে পরিলক্ষিত হয়েছে। অপরিচিতা গল্পে আমরা দেখতে পাই যে, বড় ঘর দেখে কল্যাণীর বিয়ে ঠিক করা হয়। কিন্তু বিয়ের দিন দেখা গেল, বরপক্ষ কল্যাণীকে দেওয়া গহনা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
উদ্দীপকে আমরা দেখতে পাই, শাহানার বাবা একজন উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মী। তাদের প্রতিবেশী আলম সাহেবের শিক্ষিত বেকার যুবক মাসুদ শাহানাকে বিয়ে করেছে। মাসুদের বাবা তার ছেলের বিয়ের বিনিময়ে যৌতুকের পরিবর্তে চেয়েছেন ছেলের জন্য একটা চাকরি। কিন্তু বিয়ের মাত্র কয়েকদিন পরেই হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়লেন শাহানার বাবা।
এরপর হাসপাতালে গেলে জানা যায়, তার দুরারোগ্য ব্যাধি হয়েছে এবং তিনি তার চাকরি হারান। তিনি চিকিৎসার জন্য সব অর্থ ব্যয় করেন এবং অবশেষে মৃত্যু হল তার শেষ পরিণতি। তার মৃত্যুর পর মাসুদের বাবার সমস্ত আশা ভেঙে যায়। এ বিয়েতে মাসুদ কোন লাভ না দেখে শাহানার উপর অত্যাচার শুরু করে দেয়। শাহানা অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে।
সুতরাং আমরা একথা বলতে পারি, যৌতুকের কুপ্রথার কবলে পড়ে যেমন কল্যাণীর বিয়ে ভেঙে যায়, উদ্দীপকেও সাহানাকে যৌতুকের কালো থাবায় দিতে হল সুখহীন নিজের জীবন। মূলত যৌতুক প্রথার কুপ্রভাবের কারণে বাংলাদেশের হাজারো নারীর জীবন হয়ে ওঠে বিভীষিকাময়, কখনও বা দিতে হয় তাদের জীবন। উদ্দীপকে অপরিচিতা গল্পের যৌতুক প্রথার প্রভাবই পরিলক্ষিত হয়েছে।
উত্তর ঘ: শাহানা যদি কল্যাণীর মতো যৌতুক প্রথাকে না বলতে পারতো, নিজেকে অসহায় না ভেবে স্বনির্ভর হতে পারতো তাহলে তার জীবনে এই পরিণতি নেমে আসতো না বলে আমি মনে করি।
অপরিচিতা গল্পের কল্যাণীর বাবা শম্ভুনাথ বাবু বড় ঘর দেখে কল্যাণীর বিয়ে ঠিক করেন। কিন্তু তাদের বিয়ের দিন দেখা গেল বরপক্ষ কল্যাণীকে দেওয়া গহনা নিয়ে প্রশ্ন করেন। তাদের আশঙ্কা ছিল যে, যতটুকু যৌতুকের দাবি ছিল তার চেয়ে অধিক গহনা দেওয়ার কারণ কি? বরের মামা সন্দেহ করেন, এই গহনা নিশ্চয়ই নকল হবে এবং কন্যা পক্ষ এসব নকল গহনা দিয়ে বরপক্ষকে ঠকাচ্ছে।
তাই তিনি কোনের সকল গহনা যাচাই করার সিদ্ধান্ত নিলেন। কল্যাণীর বাবা তাদের ভুল ভাঙতে চেষ্টা করলেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন যে, যারা নিজের কন্যার ব্যাপারে এমন কথা ভাবতে পারে তাদের সাথে আর যাই করা যায় না কেন কন্যাদান করা যায় না। তাই এ বিয়ে ভেঙে যায়।
উদ্দীপকে আমরা দেখতে পাই, শাহানার বাবা একজন সরকারি কর্মকর্তা। তাদের প্রতিবেশী আলম সাহেব অনেক আশা নিয়ে নিজের ছেলে মাসুদকে শাহানার সাথে বিয়ে দেন। মাসুদের বাবা তার ছেলের বিয়ের বিনিময়ে একটি চাকরি চান। কিন্তু বিয়ের মাত্র কয়েকদিন পরেই শাহানার বাবা অসুস্থতার কারণে মারা যায়। পরবর্তীতে মাসুদ শাহানার উপর অত্যাচার শুরু করলে শাহানা অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে।
সুতরাং দেখা যায়, কল্যাণী যেমন লোভাতুর বর কে বিয়ে না করে যৌতুকের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল, তেমনি যদি উদ্দীপকের সাহানাও করতো তাহলে সে পরনির্ভর জীবনযাপন না করে আত্মনির্ভর হতে পারতো। যৌতুক লোভী ব্যক্তি কখনও তার স্বভাব বদলাতে পারে না। সে সব সময় কেবল আশা করবে নিজের লাভ ও আত্মস্বার্থ কিভাবে চরিতার্থ করা যায়।
সে কারণেই শাহানা যদি যৌতুকের বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে নিজেকে স্বনির্ভর করতে পারতো তাহলে তাকে এই করুণ পরিণতির দিকে যেতে হতো না। অর্থাৎ একথা সন্দেহাতীতভাবে বলা যায়, যৌতুক প্রথাকে যদি শাহানা না বলতে পারতো তাহলে তার জীবনটা এরকম হতো না বলে আমি মনে করি।
উদ্দীপক ৩: পারভীন আক্তার সবেমাত্র বিয়ে করেছে। কিন্তু তার তার শশুর শাশুড়ি যৌতুক না দেওয়ার কারণে পারভীনের সাথে ভালো আচরণ করে না। অপরদিকে পারভীনের ছোট বোনের বিয়ে ঠিক হয়, কিন্তু বিয়ের দিন বরপক্ষ যৌতুক দাবি করে বসে। বরপক্ষের এমন আচরণ দেখে পারভীনের ছোট বোন এ বিয়েতে রাজি হয় না। পরবর্তীতে ভালো একজন পাত্র দেখে পারভীনের ছোট বোন শারমিনের বিয়ে দেওয়া হয়।
অপরিচিতা গল্পের ৩ নং সৃজনশীল প্রশ্ন:
- ক. ইসলামে যৌতুক নেওয়া কি?
- খ. কিভাবে যৌতুক প্রথা বন্ধ করা সম্ভব?
- গ. কল্যাণী এবং শারমিনের বিয়ের ঘটনা এক হলেও তাদের চিন্তাধারা ভিন্ন ব্যাখ্যা কর।
- ঘ. কল্যাণী এবং শারমিনের মধ্যে কে উত্তম বলে তুমি মনে কর ব্যাখ্যাসহ সংক্ষেপে লিখ।
অপরিচিতা গল্পের ৩ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
উত্তর ক: ইসলামে যৌতুক নেওয়া হারাম, অবৈধ কাজ।
উত্তর খ: যৌতুকের কারণে পরিবারের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। মূলত যৌতুক নেওয়া একটি অবৈধ কাজ। যৌতুক প্রথা বন্ধ করতে হলে আমাদের ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে হবে। এছাড়া যৌতুক প্রথা বন্ধ করতে যৌতুকের অপকারিতা সম্পর্কে সকলকে অবগত করতে হবে। যৌতুকের অপকারিতা গুলো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে পারেন।
উত্তর গ: কল্যাণী এবং শারমিনের মধ্যে শারমিনের চিন্তাধারা উত্তম বলে আমি মনে করি। অপরিচিতা গল্পে কল্যাণীর বিয়ে ভেঙে যায় এবং কল্যাণী পরবর্তীতে আর কোন বিয়ে করবে না বলে সিদ্ধান্ত নেয়। সে সমাজ সেবামূলক কাজে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যাবে কল্যাণী অনেক সমস্যার সম্মুখীন হবে। কেননা কল্যাণী একদিন বৃদ্ধা হয়ে যাবে এবং তার দেখাশোনার জন্য কেউ থাকবে না।
অপরদিকে শারমিনের বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পরে সে নতুন একজন ভালো ছেলেকে বিয়ে করে। সে এখন নিশ্চয়ই সুখে শান্তিতে সংসার করবে। চাইলে সে পারিবারিকভাবে সমাজসেবামূলক কাজও করতে পারে। এমন অনেক মহিলা রয়েছেন যারা সংসারের হাল ধরার পাশাপাশি শিক্ষকতা করে থাকেন। সুতরাং আমি মনে করি কল্যাণী এবং শারমিনের মধ্যে শারমিনের চিন্তাধারাই বেশি উত্তম।
উত্তর ঘ: কল্যাণী এবং শারমিনের মধ্যে শারমিন বেশি উত্তম বলে আমি মনে করি। উদ্দীপকে দেখা যায় শারমিন এর প্রথম বিবাহ যৌতুকের কারণে বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে সে একটি ভালো ছেলের খোঁজ পায় এবং বিয়ে করে নেয়।
অপরিচিতা গল্পে কল্যাণীর বিয়েতে বরপক্ষ কনের গায়ের স্বর্ণ ঠিক আছে কিনা তা যাচাই করতে চায় এবং কন্যা পক্ষকে অপমান করে। এর কারণে পরবর্তীতে কল্যাণীর বিয়ে ভেঙে যায়। পরবর্তীতে কল্যাণী শিক্ষকতার পেশা বেছে নেয় এবং বিয়ের চিন্তা বাদ দেয়।
উদ্দীপকের শারমিন একটি ভালো জীবনসঙ্গী পেয়েছে, সে এখন সুখে শান্তিতে বসবাস করবে এবং পরবর্তীতে তার ঘরে সন্তান আসবে। আর শারমিনের বংশ বড় হতে থাকবে। শারমিন যখন বৃদ্ধ বয়সে উপনীত হবে, তখন তারা দেখাশোনার জন্য অনেকেই থাকবে। কিন্তু কল্যাণী যখন বৃদ্ধ বয়সে উপনীত হবে, তখন তার সেবা করার জন্য কাউকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল হয়ে যাবে এবং কষ্টে দিন কাটাতে হবে।
বিবাহ একটি সামাজিক নিয়ম যা পালন করতে হবে। কেননা এটির মাধ্যমে জীবন সুখী রাখা যায়, বংশবিস্তার করা যায়। উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে স্পষ্ট হয় যে কল্যাণের যে শারমিন উত্তম কাজ করেছে। কেননা শুধু টাকা থাকলে এবং সমাজসেবামূলক কাজ করলেই সুখী হওয়া যায় না।
লেখকের মন্তব্য: অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর (hsc)
যৌতুক ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিতে হারাম। আমাদের সকলের উচিত যৌতুকের বিরুদ্ধে কথা বলা। সম্মানিত পাঠক অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে আমরা জানতে পারলাম।
উপরোক্ত প্রশ্নগুলোর ভালোভাবে আয়ত্ত করতে পারলে অপরিচিতা গল্পের যে কোন প্রশ্নের উত্তর আশা করি আপনারা সহজেই দিতে পারবেন। অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।