অধ্যবসায় রচনা ও অধ‍্যবসায় রচনা ২০ পয়েন্ট

ধূমপান ছাড়ার উপায় জানুনঅধ‍্যবসায় রচনা ও অধ‍্যবসায় রচনা ২০ পয়েন্ট। আমরা জানি, মানুষের জীবনের যেকোনো লক্ষ্য পূরণ করার জন্য নিরবিচ্ছিন্ন এবং একনিষ্ঠ প্রচেষ্টাই হল অধ্যবসায়। ইংরেজিতে এই অধ্যবসায়-কে বলা হয় “Perseverance”.
অধ‍্যবসায় রচনা
সেই সাথে অবিচল সংকল্প এবং সকল প্রতিকূলতা অতিক্রম করে, অপরিসীম ধৈর্যের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং সাফল্য লাভ করার চরিত্রকেই অধ্যবসায় বলা হয়। এছাড়া উদ্যোগ নিরন্তন কর্ম প্রচেষ্টা এবং আন্তরিক কঠোর পরিশ্রম অধ্যবসায়ীকে প্রদান করে থাকে পূর্ণতা।
মানুষের জীবনে সাফল্য এবং ব্যর্থতা নির্ভর করে থাকে অধ্যবসায়ের উপরে। যেমন আমরা জানি নামাজ জান্নাতের চাবি। ঠিক সেরকম ভাবে জীবনের সাফল্য বয়ে আনার জন্য মূল চাবিকাঠি হল অধ্যবসায়।
অধ্যবসায় এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ রচনা। এই রচনাটি বিভিন্ন পরীক্ষা যেমন- এসএসসি পরীক্ষা, এইচএসসি পরীক্ষা গুলোতে আসার চান্স সব থেকে বেশি থাকে।
এছাড়া আরও পরীক্ষায় আসার মত অন্যান্য যে গুরুত্বপূর্ণ রচনা গুলো রয়েছে তার মধ্যে অধ্যবসায় রচনাটি অন্যতম।
তাই সকল মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থী ভাই ও বোনদের জন্য, আমাদের এই আর্টিকেলে অধ্যবসায় রচনা ২০ পয়েন্ট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
তাই আপনি যদি মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেতে চান? তাহলে আজকের অধ্যবসায় রচনা ২০ পয়েন্ট আপনার অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে লাগবে। তাই আশা করব আমাদের লেখা আর্টিকেলটি আপনি শেষ পর্যন্ত ধৈর্য সহকারে পড়বেন।

অধ‍্যবসায় রচনা

আপনারা উপরে উল্লেখিত আলোচনায় জানতে পারলেন অধ্যবসায় কি এবং অধ্যবসায়ের গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত। 
এখন আপনাদের অধ্যবসায় রচনা হিসেবে কয়েকটি পয়েন্ট বলে দিব যেগুলো আপনার পরীক্ষায় আসলে কোটেশন অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারবেন। 
তো চলুন অধ্যবসায় রচনা বিষয়ে কিছু পয়েন্ট জেনে আসা যাক।

অধ‍্যবসায় রচনা ও অধ‍্যবসায় রচনা ২০ পয়েন্ট

আপনারা উপরে উল্লেখিত আলোচনায় জানতে পারলেন অধ্যবসায় কি এবং অধ্যবসায়ের গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত।
তো চলুন অধ্যবসায় রচনা বিষয়ে কিছু পয়েন্ট জেনে আসা যাক।

ভূমিকা

বাস্তব জীবনের প্রতিটি মানুষ চায় তারা যাতে সফল হতে পারে। মানব সভ্যতায় সফলতা পাওয়ার প্রচেষ্টার নাম হচ্ছে অধ্যবসায়। বর্তমানে মানব সমাজে সফলতা পাওয়া এতটা সহজ ব্যাপার নয়।
সফলতা পেতে চাইলেও সফলতা অর্জন করার জন্য কিছু বাধা-বিপত্তি আসবে। তাই প্রতিটি ব্যর্থতাকে কাজে লাগিয়ে টিকে থাকতে পারলে একদিন সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
কেউ যদি গন্তব্য-স্থলে পৌঁছাতে না পারে, আর শেষ সময়ে সে যদি হাল ছেড়ে দেয়, তাহলে কিন্তু এটি অধ্যবসায়ের মধ্যে পরে না।
আপনাদের যদি আরও সহজ ভাষায় বলি তাহলে বলা যাবে, মানব সভ্যতায় অর্থাৎ মানুষের লক্ষ্য পূরণ করার জন্য সকল প্রকার ব্যর্থতাকে পেছনে ফেলে দীর্ঘ প্রচেষ্টা ও ধৈর্য ধারণ করার মাধ্যম হচ্ছে অধ্যবসায়।

অধ্যবসায় কি?

অধ্যবসায় বলতে বোঝানো হয় অবিরাম প্রচেষ্টাকে। সেই সাথে কোন মানুষ যদি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কিংবা গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য অবিরাম প্রচেষ্টা চালিয়ে যায়। তাহলে বুঝতে পারবেন সে মানুষের মধ্যে অধ্যবসায় আছে।
মানব সমাজে ভালো কিছু পেতে চাইলে তা কখনোই সহজে পাওয়া যাবে না। তো ভালো কিছু পেতে চাইলে ব্যক্তির মধ্যে অবশ্যই অধ্যবসায় থাকা অত্যন্ত জরুরী।
একজন মানুষ যদি ধৈর্য ধারণ করে কাজের উদ্দেশ্যে  পৌঁছাতে পারে এবং সেই কাজে টিকে থাকতে পারে তাহলে সে দ্রুত সফলতার দিকে এগিয়ে যাবে।
অধ্যবসায়  মূলত এক ধরনের মানসিক বল। যা মানুষের সফলতার যতই বিপদ আসুক না কেন, সেই সকল বিপদ পার করতে সহায়তা করবে। তাই বলা যায় যার মধ্যে যতো বেশি মানসিক বল রয়েছে সেই মানুষ ততো বেশি অধ্যবসায়ী হিসেবে বিবেচিত।
মানব সমাজে সফলতা পূরণের জন্য অধ্যবসায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অধ‍্যবসায় ছাড়া মানব সমাজে চলা অনেক কঠিন। কারণ আমরা আগেই বলেছি সফলতা অর্জনের মূল চাবিকাঠি হল অধ্যবসায়।
আমাদের জানামতে সারা পৃথিবীতে যতো সুন্দর জিনিসগুলো এবং কল্যাণকর সুযোগ-সুবিধা তৈরি হয়েছে সবগুলো অধ্যবসায়ের দ্বারা অর্জিত হয়েছে।
মানুষের জীবনে সফলতা পেতে গেলে বিভিন্ন বিপদের সম্মুখীন হতে হবে এটাই কিন্তু স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে যারা বিভিন্ন ধরনের বিপদের মধ্যে থেকে  লড়তে পারে, তারা তাদের লক্ষ্য জয় করতে পারে।

অধ্যবসায় এর গুরুত্ব

প্রতিটি মানুষের জীবন এর সঙ্গে কাজকর্ম জড়িত থাকে।প্রতিটি মানুষ এর কর্মের প্রচেষ্টাকে কাজে লাগিয়ে, ভবিষ্যৎ জীবন উজ্জ্বলের জন্য অধ্যবসায় এর প্রয়োজন হয়।
অধ্যবসায় হল মানুষের জীবন এ সফলতার লক্ষ্যে পৌঁছানোর একটি চালিকা শক্তি। সমাজে সফলতা পেতে গেলে অনেক বাঁধা ও ব্যর্থতা চলে আসবে, এখানে সমাপ্তি না, ব্যর্থতা হল সফলতার একটি পথ মাত্র। 
তাই বলা যায় আপনি যদি ভালো কোন কিছু আশা করেন বা পেতে চান তাহলে সাধনা করা ছাড়া সেটি পাওয়া সম্ভব হবে না।
আপনার মধ্যে যদি অধ্যবসায় থাকে সেক্ষেত্রে অসাধ্যগুলো সাধন করে নিতে পারবেন। 
আর যারা বারবার কোন নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য ব্যর্থ হন, তারা এই সমস্যা থেকে বের হতে চাইলে অবশ্যই সমাধানের জন্য অধ্যবসায়কে কাজে লাগাতে হবে।
যে মানুষ কোন পদক্ষেপ বা প্রচেষ্টা করা ছাড়াই কোন কাজের হাল ছেড়ে দেয় সেই মানুষ অধ্যবসায়ী হতে পারে না। 
আর যে সকল ব্যক্তি ধৈর্য ধরে নির্দিষ্ট কাজের বা লক্ষ্যের দিকে প্রচেষ্টা চালিয়ে কাজ করতে থাকে তাকেই প্রকৃত অধ্যবসায়ী বলে। মানব সভ্যতায় মানুষের জীবনে অধ‍্যবসায় এর গুরুত্ব অনেক বেশি।

ছাত্র জীবনে অধ্যবসায়

শিক্ষা জীবন বা ছাত্র জীবন রচনার একটি অনুশীলন ক্ষেত্র। তাই অধ্যবসায়ী শিক্ষা জীবনে বা ছাত্র জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। শিক্ষা ক্ষেত্রে অধ্যবসায়ের মাঝে আছে একাধিক সংযোগ।
প্রতিবার অনুশীলন এর মাধ্যমে স্টুডেন্টদের জ্ঞান ও সৃজনশীল আরোহণ করতে সহায়তা করে। ছাত্র জীবনে অধ্যবসায়কে সর্বাধিক গুরুত্ব দিলে রচিত হয়ে যায় জীবনের সাফল্য।
অসংখ্য সৃজনশীল মেধাবী স্টুডেন্ট যথেষ্ট জ্ঞানের অভাবে জীবনের সফলতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়।স্টুডেন্টরা যতো বেশি মেধাবী হয়ে থাকুক না কেন শেষ পর্যন্ত অধ্যবসায় না থাকলে কখনোই সফলতা অর্জন করতে পারে না।
এছাড়া একজন অধ্যবসায়ী স্টুডেন্ট কম সৃজনশীলতা মেধা সম্পন্ন হয়ে থাকলেও সেই স্টুডেন্টের নিজের কৃতিত্ব প্রতিষ্ঠা করতে সফল হয়ে যায়। 

ব্যক্তি জীবনে অধ্যবসায়

সমাজে চলার পথে আমাদের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় এটাই বাস্তব। আর জীবনে চলার পথে এই সমস্যাগুলো সমাধানের একমাত্র উপায় হল অধ‍্যবসায়।
যে মানুষ কোন প্রচেষ্টা ছাড়া হাল ছেড়ে দেয়, সেই মানুষ কখনও অধ্যবসায়ী হতে পারে না। আর যে সকল মানুষ তাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে কাজ করে যায় তাদেরকে প্রকৃত অধ‍্যবসায়ী বলা হয়।

মনীষীদের জীবনে অধ‍্যবসায়

যে সকল ব্যক্তি মানুষের শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসার আদর্শ হয়েছে তারা সকলে ছিলেন অধ্যবসায়ী। মহাকাব্য শাহনামা ৩০ বছরের কাব্য প্রয়াস। আরও অসংখ্য পরিমাণের মনিষীরা বিভিন্ন ধরনের কবিতা এবং মহাকাব্য অনেক বছর সাধনা করে অধ্যবসায়ের মাধ্যমে তৈরি করেছেন।

বিজ্ঞানে অধ্যবসায়

বিশ্বের সকল ক্ষেত্রে অধ‍্যবসায় এর গুরুত্ব অনেক বেশি। তার মাঝে বিজ্ঞান হল অন্যতম। প্রতিটি বিজ্ঞান আবিষ্কারের পেছনে লুকিয়ে রয়েছে অধ্যবসায়ের গুরুত্ব।
বর্তমান সময়ে আমরা যে সকল বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে যাচ্ছি এ গুলো আবিষ্কার করা কিন্তু এতটা সহজ ব্যাপার ছিল না। বিজ্ঞানীদের আত্মবিশ্বাস প্রচেষ্টা ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে সারা বিশ্বে অনেক জাঁকজমক ভাবে উন্নত প্রযুক্তি চলে এসেছে। বিজ্ঞান থেকেও আপনারা বিভিন্ন ধরনের অধ্যবসায়ের শিক্ষা অর্জন করতে পারবেন।

জাতীয় জীবনে অধ্যবসায়

জাতীয় জীবনের ক্ষেত্রে অধ্যবসায় বিশেষভাবে জাতির গৌরব প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতিটি নাগরিকের অধ্যবসায়ী হওয়া অত্যন্ত জরুরী। কারণ জাতীয় জীবনে অধ্যবসায়ের প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে ব্যক্তিগত জীবনে অনেক অনুশীলন করার দরকার রয়েছে।

মানব সভ্যতায় অধ‍্যবসায়

বর্তমান এই ডিজিটাল যুগে যে সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারছি তা আমাদের পূর্বপুরুষদের অধ‍্যবসায় এর ফলাফল।
আদিম কালের অর্থাৎ প্রাচীনকালের লোকজন বিভিন্ন গুহায় এবং বন জঙ্গলে বসবাস করতেন। রাষ্ট্র সমাজ এবং ভাষা বলতে তখন কিছুই ছিল না। তবে ধীরে ধীরে মানুষের প্রচেষ্টার মাধ্যমে মানব সমাজের অনেক উন্নতি ঘটেছে।
একসময় মানুষের যে সকল ইচ্ছে বা স্বপ্ন ছিল সেগুলো এই ডিজিটাল যুগে বাস্তবে রূপ ধারণ করেছে। যুগের পর যুগ অতিবাহিত হওয়ার পরে মানুষের জ্ঞানের সমন্বয়ে ও অধ্যবসায়ের ফলে সারা পৃথিবী আমাদের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। 
মানব সমাজে উন্নতি কিন্তু এতটা সহজ ছিল না। মানুষের ধৈর্য এবং শ্রমের বিনিময়ে অর্থাৎ অধ্যবসায়ের ফলে তারা এই উন্নতিটি ঘটাতে পেরেছে।

অর্থনীতিতে অধ‍্যবসায়

যেকোনো দেশের অর্থনীতি নির্ভর করে থাকে, সে দেশের মানুষ কতটা পরিশ্রমী হয়। কোন দেশের অর্থনীতি এর কাঠামো নির্মিত হয় সে দেশের মানুষের মাধ্যমে। 
ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখলে জানতে পারবেন অনুন্নত দেশগুলোর মানুষ উন্নয়নশীল দেশের মানুষের থেকে অনেকটাই কম পরিশ্রমী। 
উন্নত এই পৃথিবীতে যাই কিছু ঘটে তার পিছনে অধ্যবসায় অন্যতম ভূমিকা পালন করে থাকে। কোন দেশের অর্থনীতিতে যদি শক্তির অভাব হয় সেক্ষেত্রে সে দেশে দেখা যায় বিভিন্ন সমস্যা। বিভিন্ন দেশে অর্থের অভাবে উন্নতি ঘটে না। এজন্য অধ‍্যবসায় একটি দেশ এর অর্থনৈতিক ভূমিকা পাকাপোক্ত করে। 

প্রতিভাতে অধ্যবসায়

কোন মানুষ যদি মনে করেন প্রতিভা হল সফলতার মূলমন্ত্র। তাহলে এই ধারণাটি গ্রহণযোগ্য হবে না। অধ্যবসায় ছাড়া কেউ সফলতা অর্জন করতে পারে না। কারণ প্রতিভাবান ব্যক্তিদের জীবনে প্রতিষ্ঠা চলে আসে অধ্যবসায়ের মাধ্যমে। তাই বলা যায় প্রতিভা অর্জনের জন্য অধ‍্যবসায় অনেক প্রয়োজন।

বাঙালি জাতির অধ‍্যবসায়

আমাদের এই বাংলাদেশ অসংখ্য মানুষের রক্ত আর ত্যাগের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশে বসবাস করে আমরা মাথা উঁচু করে বলতে পারছি আমরা প্রকৃত বাঙালি।
সত্যি কি আমরা নিজেদের মাঝে বাঙালির গুণাবলী অর্জন করতে পেরেছি।  এক্ষেত্রে আমরা বাঙালির মধ্যে অধ্যবসায়ের গুণটি খুঁজে পাই না। কারণ আমরা বাঙালিরা কোন কাজের প্রচেষ্টা এবং পরিশ্রম করি না, আমরা মুখে বলি আমরা প্রকৃত বাঙালি কিন্তু এটি আসলে বাস্তবে কোন রূপ নেই।
তাই বাঙালি জাতির অধ‍্যবসায় অর্জন করতে চাইলে অবশ্যই নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে।

অধ্যবসায় এর শিক্ষা

প্রতিটি মানুষের জীবনে বিভিন্ন ধরনের বাধা-বিপত্তি আসবে, এমনটা না হওয়ার কোন অবকাশ নেই। সমস্যা দেখা দিবে এটাই বাস্তব।
কিন্তু আপনি কোন কাজে ব্যর্থ হওয়ার পর সেখান থেকে যদি পেছনের দিকে চলে আসেন।  তাহলে কিন্তু সফলতা অর্জন হবে না, তাই আপনাকে জানতে হবে কিভাবে এই বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে সামনের দিকে যাওয়া যায়।
তাই বিভিন্ন গুণের লোকদের দেখলে জানা যাবে তাদের সফলতার পেছনে অবশ্যই অধ‍্যবসায় রয়েছে। আপনি যদি শিক্ষা ক্ষেত্রে অধ্যবসায় কাজে লাগাতে পারেন তাহলে অবশ্যই সফল হতে পারবেন।

অধ্যবসায় এর মূল্য

মানুষের জীবনে অধ্যবসায়ের মূল্য অনেকটাই বেশি। বুদ্ধিমান মানুষের জীবনে যে সকল বাঁধা-বিপত্তি আসে সেগুলো অধ্যবসায়ের মাধ্যমে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে। 
মানুষের আত্মবিশ্বাস অধ্যবসায় এর মূল মন্ত্র। পরিশ্রম ও আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে মানুষ তাদের অধ্যবসায়কে সংযত রেখেছে। 

অধ্যবসায় এর চর্চা

আমরা জানি সকল কাজ চর্চার অধীনে থাকে।অধ‍্যবসায় এমন একটি চর্চা যার মাধ্যমে সকল বাঁধা পেরিয়ে সফলতা পাওয়া যায়।  
মানুষ জন্মানোর পরেই সে অধ‍্যবসায় নিয়ে আসে না, অবশ্যই প্রতিটি মানুষকে অধ‍্যবসায় অর্জন করে নিতে হয়। তাই অন্যান্য কাজের মতো অবশ্যই অধ‍্যবসায় চর্চা করতে হবে। 

অধ‍্যবসায় এবং সফলতা

যাদের মধ্যে অধ্যবসায় আছে তাদের জীবনের সফলতা ১০০%। সারা বিশ্বে যতগুলো মহান মানুষ এসেছেন বা এসেছিলেন আমাদেরকে তারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ অনেক কিছু প্রদান করে গিয়েছেন, তারা এই পৃথিবীতে নেই তার পরেও তাদের কাজকর্ম এবং মাহাত্ম্য আমাদের জীবনে এখনো রয়ে গেছে। 
তো মহা গুণীগণ ব্যক্তিরা যে সকল অবদান রেখে গেছে সেগুলো মূলত অধ্যবসায়ের মাধ্যমে পূরণ করেছে। কারণ তাদের মধ্যে অধ্যবসায়ের গুণ ছিল তাই তারা অধ‍্যবসায় এর মাধ্যমে সফলতা অর্জন করতে পেরেছে।

অধ্যবসায় এবং আত্মবিশ্বাস

সফলতা অর্জনের আরও একটি অন্যতম প্রধান মাধ্যম হল আত্মবিশ্বাস। মানুষের নিজের প্রতি যদি নিজের আত্মবিশ্বাস থাকে তাহলে মানুষের জন্য কোন কাজ করা অসম্ভব হবে না। 
সফল হয়েছে তারাই যারা মূলত বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে সামনের পথে এগিয়ে গিয়েছেন। তাই আপনি নির্দিষ্ট কাজে সফলতা পাবেন এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করেন, তাহলে ১০০% সফলতা অর্জন করতে পারবেন।

সাফল্যের চাবিকাঠি অধ‍্যবসায়

অধ‍্যবসায় মূলত মানুষের স্বপ্ন পূরণ ও সাফল্যের মূল চাবিকাঠি হিসেবে বিবেচিত হয়। উন্নত মানের জীবন গড়ার লক্ষ্য থাকলে অধ‍্যবসায়কে গুরুত্ব অনেক বেশি দিতে হবে। শিক্ষা জীবন থেকে শুরু করে, মনীষীদের জীবনী, ব্যক্তি-জীবনী, মানব সভ্যতা ও সমাজ, অর্থনৈতিক, জাতীয় জীবনের উন্নতি সহ আরও বিভিন্ন বিষয়ের সফলতা অর্জনের মূল জিনিস হল অধ‍্যবসায়। কারণ অধ‍্যবসায় ছাড়া সফলতা লাভ করা যায় না। তাই অধ্যবসায়-কে বলা হয় সাফল্যের চাবিকাঠি।

পরিশেষে/উপসংহার

মানুষের জীবনে সফলতা অর্জন করার জন্য অধ্যবসায়ের কোন বিকল্প নাই। মানুষের নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য নির্দিষ্ট প্রচেষ্টা থাকলে কখনোই সে নিরস্ত হবে না। অধ্যবসায়ী মানুষের ধৈর্য এবং পরিশ্রম একসময় সফলতা বয়ে আনে।

শেষ কথা: অধ্যবসায় রচনা ও অধ‍্যবসায় রচনা ২০ পয়েন্ট

সুপ্রিয় দর্শক, আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করলাম অধ‍্যবসায় রচনা – অধ‍্যবসায় রচনা ২০ পয়েন্ট নিয়ে। আশা করি যারা মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থী রয়েছেন তাদের জন্য আজকের এই অধ্যবসায় রচনাটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ হবে।
এখন অধ‍্যবসায় রচনা সম্পর্কে আপনার যদি আরও কোন কিছু জানার থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। সেই সাথে আপনার এই লেখাটি ভালো লাগলে, নিচে থাকা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবেন।
See also  জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর সুবিধা ও অসুবিধা জেনে নিন

Leave a Comment